Kashmir: উপত্যকায় বড় সাফল্য! খতম কুখ্যাত জঙ্গি নেতা সহ ৫
Kulgam Encounter: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শেষ বেলায় কুলগামের গোপালপোরা এবং পোমবে গ্রামে অভিযান চালান নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের কাছে খবর ছিল, ওই দুই গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা।
শ্রীনগর : উপত্যকায় সেনার বড়সড় সাফল্য। স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী দা রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-এর শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে খতম করলেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে পোমবে এবং গোপালপোরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ওই জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করেন জওয়ানরা। নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর এনকাউন্টারে আরও চার জঙ্গি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শেষ বেলায় কুলগামের গোপালপোরা এবং পোমবে গ্রামে অভিযান চালান নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের কাছে খবর ছিল, ওই দুই গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। অভিযানে পোমবে গ্রামে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, আর বাকি দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে গোপালপোরায়। সেনা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
জওয়ানরা শুরুতেই গ্রাম দুটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। টের পেয়ে জঙ্গিরাও গুলি চালানো শুরু করে। পাল্টা গুলি চালান নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরাও। অভিযানে আফাক সিকান্দর নামে দা রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টের এক কমান্ডারকে খতম করে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার আজ এক টুইটে ওই জঙ্গি কমান্ডারের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
গতকালই গোপন সূত্র থেকে জওয়ানরা খবর পেয়ে শ্রীনগরের হায়দারপোরায় অভিযান চালান। অভিযানে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন জঙ্গি এবং বাকি দুজন ব্যবসায়ী। ওই দুই ব্যবসায়ী জঙ্গিদের মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
নিহত দুই ব্যবসায়ীর নাম মুদাসির গুল এবং আলতাফ ভাট। শ্রীনগরের হায়দারপোরা এলাকায় কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে তাদের দোকান ছিল। জানা গিয়েছে, মুদাসির গুল দাঁতের ডাক্তারি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। হায়দারপোরায় তার একটি কম্পিউটার সেন্টার ছিল। আর আলতাফ ভাট হায়দারপোরার ওই কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের মালিক। এছাড়া হার্ডওয়্যার এবং সিমেন্টের দোকানও ছিল একটা।
এই দুই ব্যবসায়ীকে নিকেশ করাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনীতিকরা। ওই দুই ব্যবসায়ীকে নিকেশ করা নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
মেহবুবা মুফতি তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, “নিরপরাধ সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, গুলির লড়াইয়ে তাদের হত্যা করা এবং তারপর সুবিধা মতো তাদের ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসেবে তকমা লাগিয়ে দেওয়া… এটাই কি এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম। সত্য বের করে আনতে এবং এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে একটি বিশ্বাসযোগ্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা জরুরি।”