মাঝ রাতে জঙ্গল থেকে ভেসে এল আর্তনাদ, বজ্রাঘাতে ২০ টি হাতির মৃত্যু অসমে
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ১৮ টি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। এরপর আরও দু'টি হাতির শব পাওয়া যায়।
গুয়াহাটি: প্রকৃতির রোষানলে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল অসমের নগাঁও জেলা। বুধবার রাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের জেরে নওগাঁর বামুনি পাহাড়ে একসঙ্গে মৃত্যু হল ২০ টি হাতির। বন দফতর সূত্রে খবর, বাজ পড়েই এই হাতিগুলি বেঘোরে মারা পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ১৮ টি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। এরপর আরও দু’টি হাতির শব পাওয়া যায়।
কাঠিয়াটোলি অভয়ারণ্যের কুণ্ডোলি এলাকায় এ দিন সকালে পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃত হাতিগুলিকে। বন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারির অমিত সহায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন যে সবকটি হাতির মৃত্যুই বাজ পড়ে হয়েছে। অসমের বনমন্ত্রীর বক্তব্য, ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। তবে বজ্রপাতেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারছি। আগামিকাল ঘটনাস্থলে তিনি যাবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: বছর শেষের আগেই উপলব্ধ হবে ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ়, আশ্বাস কেন্দ্রের
স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, মৃত ২০ টি বুনো হাতির মধ্যে ১৮ টি প্রাপ্তবয়স্ক, দু’টি বাচ্চা। নিকটবর্তী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বজ্রপাতের সময় তাঁরা হাতির আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছিলেন। একই এলাকায় একসঙ্গে এতগুলি হাতির মৃত্যু বজ্রপাত ছাড়া সম্ভবও নয় বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরাও। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও বন দফতরকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা: শিশু সুরক্ষা কমিশন-সহ একাধিক প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, বিরক্ত রাজ্য