AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Train Accident: ফিসপ্লেট খুলে নেওয়া থেকে বিস্ফোরণ, জঙ্গি যোগে এই সব ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে গতিতে ছুটে চলা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লুপ লাইনে ঢুকে যাওয়াকেই দায়ী বলে উঠে এসেছে রেলের তদন্তে। কোনও গাফিলতি হয়েছে কিনা, হলে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে নাশকতার হাতও আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Train Accident: ফিসপ্লেট খুলে নেওয়া থেকে বিস্ফোরণ, জঙ্গি যোগে এই সব ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2023 | 8:10 PM
Share

নয়াদিল্লি: ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৭৫ জন। এ ধরনের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় অতীতেও একাধিক বার ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও রেলের যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে ঘটেছিল দুর্ঘটনা। আবার নাশকতার কারণেও দেশে একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে গতিতে ছুটে চলা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লুপ লাইনে ঢুকে যাওয়াকেই দায়ী বলে উঠে এসেছে রেলের তদন্তে। কোনও গাফিলতি হয়েছে কিনা, হলে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে নাশকতার হাতও আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরলাম ভারতীয় রেলের এমন কিছু দুর্ঘটনা যেখানে প্রবলভাবে নাশকতার অভিযোগ উঠেছিল।

২০০২ সালের ১৩ মে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে। নয়াদিল্লি থেকে পটনাগামী শ্রমজীবী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এই দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৮০ রেলযাত্রী আহত হয়েছিলেন। রেললাইনে ফিসপ্লেট সরিয়ে নেওয়ার কারণেই শ্রমজীবী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। নাশকতার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হয়।

২০০২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস। বিহারের রফিগঞ্জের কাছে নদী ব্রিজে লাইনচ্যুত হয় ওই এক্সপ্রেস ট্রেন। এর জেরে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের নাশকতার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

২০০৫ সালের ২৮ জুলাই উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শ্রমজীবী এক্সপ্রেস। ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। যদিও বিস্ফোরণের জেরে রেলচালক তৎপরতার সঙ্গে ট্রেন থামিয়েছিলেন। যার জেরে লাইনচ্যূুত হয়নি ট্রেন। তবে ১৩ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছিলেন ওই নাশকতা হামলায়। আরডিএক্স ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

২০০৬ সালে ২০ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বেলাকোবা স্টেশনের কাছে ট্রেনে বিস্ফোরণ হয়। এতে ৭ জনের মৃত্যু হয় এবং ৫৩ জন আহত হয়েছিলেন। মাওবাদীরা এই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়।

২০১০ সালের ২৮ মে ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা। হাওড়া থেকে মুম্বইগামী এই ট্রেন ঝাড়গ্রামের কাছে লাইনচ্যূত হয়। এর পর এক মালগাড়ি ধাক্কা মারে ওই ট্রেনে। সেই ঘটনায় ১৪৮ জন রেলযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। মাওবাদীরা হামলা চালিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ।

২০১১ সালের ১০ জুলাই গুয়াহাটি-পুরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয় অসমের নলবাড়ি জেলায়। স্থানীয় হামলাকারীদের বোমা হামলার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন।