Tripura: ‘বিলাসবহুল জীবন কাটাতেই ব্যস্ত শীর্ষনেতারা’, ক্ষোভে আত্মসমর্পণ আরও ৪ এনএলএফটি জঙ্গির

4 NLFT Members Surrender in Tripura: ত্রিপুরা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মসমর্পণকারীরা জানিয়েছে এনএলএফটির শীর্ষ নেতৃত্বদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষের কারণেই তারা আত্মসমর্পণ করেছে।

Tripura: 'বিলাসবহুল জীবন কাটাতেই ব্যস্ত শীর্ষনেতারা', ক্ষোভে আত্মসমর্পণ আরও ৪ এনএলএফটি জঙ্গির
ভাঙছে এনএলএফটি সংগঠন। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 2:55 PM

আগরতলা: ধীরে ধীরে ভাঙছে এনলএফটি (NLFT) সংগঠন। শুক্রবারও অস্ত্রসহ ত্রিপুরা পুলিশ(Tripura Police)-র কাছে আত্মসমর্পণ করল ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (National Liberation Front of Tripura), যা সংক্ষেপে এনএলএফটি সংগঠন নামে পরিচিত, তার ৪ সদস্য। দুই সপ্তাহ আগেও এনএলএফটির ৩ ক্য়াডার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। একের পর এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের আত্মসমর্পণকে ত্রিপুরা পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের নাম দোবেরাম রেঙাং (৪৭), শৈলেন্দ্র রেঙাং (২২), শুভালাল ত্রিপুরা (২২) ও সম্প্রাই দেববর্মা। আত্মসমর্পণের সময় তাঁরা একটি রিভলভার, একটি দেশী বন্দুক, চিনা গ্রেনেড, চারটি বুলেট, এনএলএফটি সংগঠনের টাকা তোলার তিনটি কাগজ ও বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮০০ টাকা জমা দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে দোবেরাম ও শৈলেন্দ্র উত্তর ত্রিপুরার বাসিন্দা, অন্যদিকে সম্প্রাই পশ্চিম ত্রিপুরা ও শুভালাল ধালাই জেলার বাসিন্দা। ২০১৯ সালে তারা বাংলাদেশের রাঙামাটিতে এনএলএফটির ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল।

ত্রিপুরা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মসমর্পণকারীরা জানিয়েছে এনএলএফটির শীর্ষ নেতৃত্বদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষের কারণেই তারা আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে।

১৯৯৭ সালে এনএলএফটি সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৩১৭টি বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়েছে এই সংগঠনের কারণে, যেখানে ২৮ জন নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মী ও ৬২ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। চলতি বছরেই ত্রিপুরা পুলিশের সহায়তায় আত্মসমর্পণ করে দুই শীর্ষ নেতা। তার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই আরও তিন সদস্য আত্মসমর্পণ করে মে মাসে।

এর আগেও চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে একাধিক এনএলএফটির সদস্য় আত্মসমর্পণ করে ত্রিপুরা পুলিশের কাছে। সেই সময়ও তাদের অভিযোগ ছিল, তাদের সার্বভৌম ত্রিপুরা গড়ার যে স্বপ্ন দেখিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ানো হয়েছিল, তার কোনও কাজই হচ্ছিল না। সংগঠনের সদস্যদের দিয়ে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে টাকা তোলানো হয়। সেই টাকা দিয়ে সংগছনের কাজের বদলে শীর্ষনেতারা বাংলাদেশ ও মায়ানমারে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। একইসঙ্গে সংগঠনের সদস্যদর সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও করেছিল আত্মসমর্পণকারীরা সেই সময়।

১৯৮৯ সালে ত্রিপুরায় এনএলএফটি সংগঠন তৈরি হয়। ১৯৯৭ সালে এনএলএফটি সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৩১৭টি বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়েছে এই সংগঠনের কারণে, যেখানে ২৮ জন নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মী ও ৬২ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। চলতি বছরেই ত্রিপুরা পুলিশের সহায়তায় আত্মসমর্পণ করে দুই শীর্ষ নেতা। তার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই আরও তিন সদস্য আত্মসমর্পণ করে মে মাসে।