ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলেন ত্রিপুরার প্রদেশ সভাপতি

Congress: শনিবার সকালে টুইটে পীযূষকান্তি বিশ্বাস জানান, প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলেন ত্রিপুরার প্রদেশ সভাপতি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 9:50 PM

আগরতলা: সকালে টুইট করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস। শনিবার বিকেলে ফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ত্রিপুরা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অজয় কুমার জানিয়ে দিলেন, আপাতত পীযূষকান্তি বিশ্বাসই প্রদেশের দায়িত্ব সামলাবেন। তিনি নিজে আগামী ২৯ অগস্ট ত্রিপুরা যাবেন। পীযূষকান্তির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অজয় কুমারের সঙ্গে কথা বলার পর পীযূষকান্তি বিশ্বাস নিজের ইস্তফা ফিরিয়ে নিয়েছেন। অজয় কুমার এদিন পীযূষকান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর যে বক্তব্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ অগস্ট ত্রিপুরা কংগ্রেস কমিটির অধ্যক্ষ ও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ পীযূষকান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপরই পীযূষকান্তি বিশ্বাস পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন বলে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

শনিবার সকালে টুইটে পীযূষকান্তি বিশ্বাস জানান, কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করছেন তিনি। পীযূষকান্তি বিশ্বাস লেখেন, ‘এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো আমার জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। আমি সোনিয়াজীর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। উনি আমাকে পার্টির হয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছি।’ এ নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা।

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেন, “ত্রিপুরায় কংগ্রেসের যিনি ইন-চার্জ আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি আশ্বস্ত করেছেন আমার সঙ্গে দেখা করবেন এবং যা সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করবেন। বিশেষত আমি যে সমস্ত সমস্যার এখানে মুখোমুখি হয়েছি তা নিয়ে কথা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। উনি যদি সমাধান করতে পারেন আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি প্রদেশ সভাপতি থেকে সরতে চেয়েছি। কংগ্রেসের থেকে নয়। তাই আমি আমার চিঠি প্রত্যাহার করে নিলাম।”

পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে ঘিরে গত কয়েকদিনে নানা জল্পনাই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূলের মাটি শক্তের চেষ্টা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রয়োজন হলেও তাকেও স্বাগত জানানোই যায়। তবে সেক্ষেত্রে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার শর্ত ছিল, তৃণমূলকে আগে রাজ্যে শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে হবে। তার পর ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে ‘হাত’ মেলাবে কংগ্রেস। প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মার ইস্তফার পরই ২০১৯ সালে ত্রিপুরা কংগ্রেসের দায়িত্ব বর্তায় পীযূষকান্তি বিশ্বাসের উপর। টানা এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। আরও পড়ুন: ৪ জ়োনে বাংলাকে ভাগ করবে সিবিআই, চারটি দল চষে বেড়াবে ‘হিংসা’ খুঁজতে