রাজনীতি থেকে সন্ন্যাসের ঘোষণা ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির, নতুন কোনও শুরুর ইঙ্গিত?

Tripura Congres: এই দলত্য়াগ, ত্রিপুরায় তৃণমূলের মাটি আঁকড়ানোর চেষ্টা প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য ছিল, ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রয়োজন হলেও তাকেও স্বাগত জানানোই যায়।

রাজনীতি থেকে সন্ন্যাসের ঘোষণা ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির, নতুন কোনও শুরুর ইঙ্গিত?
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 2:57 PM

আগরতলা: পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস। একই সঙ্গে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথাও টুইটারে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজনীতির স্বার্থে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোট নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে এই বর্ষীয়াণ নেতাকে। এরই মধ্যে তাঁর কংগ্রেস ত্যাগ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

শনিবার টুইটারে পীযূষকান্তি বিশ্বাস জানান, কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করছেন তিনি। পীযূষকান্তি বিশ্বাস লেখেন, ‘এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো আমার জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। আমি সোনিয়াজীর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। উনি আমাকে পার্টির হয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছি।’ কিন্তু আচমকাই কেন এ ভাবে রাজনীতি থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো, তা নিয়ে এখনও কিছুই স্পষ্ট করেননি তিনি।

একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা জয়ের হ্যাট্রিকের পর এবার সর্বভারতীয় স্তরে দলকে মেলে ধরার চেষ্টা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রথম লক্ষ্য ত্রিপুরা। গত কয়েকদিনে বিপ্লব দেবের রাজ্য একাধিক বার শিরোনামে উঠে এসেছে এবং তা উঠে আসার কারণই তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েছেন সেখানে। যুব নেতা সায়নী ঘোষ, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্যদের পাশাপাশি মলয় ঘটক, কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুর মতো নেতারাও গিয়েছেন সেখানে। অনেকেই কংগ্রেস, সিপিএম ছেড়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলে নামও লিখিয়েছেন।

এই দলত্য়াগ, ত্রিপুরায় তৃণমূলের মাটি আঁকড়ানোর চেষ্টা প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য ছিল, ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রয়োজন হলেও তাকেও স্বাগত জানানোই যায়। তবে সেক্ষেত্রে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার শর্ত ছিল, তৃণমূলকে আগে রাজ্যে শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে হবে। তার পর ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে ‘হাত’ মেলাবে কংগ্রেস।

এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। যে ব্যক্তি দু’ দিন আগে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের একসঙ্গে লড়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন, কী করে এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে পারেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এর মধ্যে নতুন কোনও সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে পীযূষকান্তি এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেব। আগামিদিনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ফোন, তারপরই ‘মিশন সাকসেসফুল’! পুলিশের জালে ১৩