Rajib Banerjee: ‘আমি লজ্জিত ও অনুতপ্ত,’ মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাবর্তন রাজীবের
Rajib Banerjee: "আজকে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যিনি আবার তাঁর ঘরে ফেরানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি প্রণাম ও সম্মান জানাই নেত্রীকে।''
আগরতলা: অবশেষে আরও এক নেতার ঘরওয়াপসি তৃণমূলে। দিল্লিতে গিয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক দলে ফিরলেন ত্রিপুরায় গিয়ে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজীব। জানালেন তিনি লজ্জিত ও অনুতপ্ত।
মঞ্চে কুণাল ঘোষের পর বক্তব্য রাখেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে জটিলতা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খালি আমি ভাবছি এত ভয় কীসের? ভয় কখন হয়? যখন গদি টলমল হয়। আর আজ ত্রিপুরায় গদি টলমল হয়ে গেছে। তাই এত ভয় পাচ্ছেন…”
তিনি আরও যোগ করেন, “অনেককে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। কাল ঘুরেছি। প্রত্যেকের একটা কথা, দাদা কত তাড়াতাড়ি পরিবর্তন আসবে ত্রিপুরায়? সেই ত্রিপুরায় যিনি পরিবর্তন আনবেন তাঁরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে ত্রিপুরায় পরিবর্তন আসছে।”
রাজীব তার পরই যোগ করেন, “আজকে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যিনি আবার তাঁর ঘরে ফেরানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি প্রণাম ও সম্মান জানাই নেত্রীকে। আমি ভুল করেছিলাম। স্বীকার করছি আমি ভুল করেছিলাম। একটা অভিমানে, জেদের বশে, রাগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেদিনও আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানা করেছিলেন। তাই আজ বলতে দ্বিধা নেই। অভিষেক আমাকে আধঘণ্টা ধরে বুঝিয়েছিলেন। আমি লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।”
রাজীব আরও বলেন, আমার ভুল আমি স্বীকার করছি। সেদিন যদি অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে থাকতাম, তাহলে নিশ্চিত ভাবে ভাল দিশা দেখতে পেতাম। আমি সত্যি অনুতপ্ত। ভুল স্বীকার করে নেওয়া অন্যায় নয়। আমাকে তখন ভুল বোঝানো হয়েছিল।
এর পর বিজেপিকে নিশানা করে রাজীব বলেন, “তখনও বলেছিলাম মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তখন আমাকেও ‘রোজি স্বপ্ন’ দেখানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল মানুষের জন্য করা করতে চাইলে ভারতীয় জনতা পার্টি করবেন। নানারকম কথা বলা হয়েছিল। আমি সত্যি যখন দলে ঢুকেছি দলে তখন অনেক উন্নয়ন, শিল্পের কথা বলা হয়েছিল। আমি যে ভুল করেছি, চাই না সারা ভারতবর্ষের মানুষ ওই ভুলটা করুক। আর যেন কেউ ভারতীয় জনতা পার্টি না করে সেটা বলার জন্য মঞ্চে মাইকটা নিয়েছি।”
এখানেই শেষ নয়। রাজীব যোগ করেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলা হয়েছিল। আজ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাহস থাকলে বুকে হাত দিয়ে বলুন, আমি বলেছিলাম দ্রব্যমূল্য হ্রাস করতে হবে। পেট্রল ও ডিজেল ও গ্যাসের দাম কমাতে হবে। খালি বলেছিল হচ্ছে, হবে…”। ভোট আর ক্ষমতা দখল ছাড়া বিজেপির কোনও এজেন্ডা নেই বলে মন্তব্য গত জানুয়ারিতে চাটার্ড ফ্ল্যাইটে গিয়ে গেরুয়া পতাকা তুলে নেওয়া রাজীবের।