আজ ত্রিপুরায় অভিষেক, তার আগেই আগরতলায় ছেঁড়া হল পোস্টার

সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার আগে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে শুরু চাপান-উতোর।

আজ ত্রিপুরায় অভিষেক, তার আগেই আগরতলায় ছেঁড়া হল পোস্টার
ত্রিপুরায় ছেঁড়া পোস্টার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2021 | 10:49 AM

আগরতলা:  ত্রিপুরায় তৃণমূলের (Tripura) অস্তিত্ব হয়ত নতুন নয়, তবে নতুন করে ত্রিপুরায় সক্রিয় হতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল (TMC)। আজ, সোমবারই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগেই একাধিক জায়গায় ছেঁড়া হল তৃণমূলের পোস্টার। বিমানবন্দর থেকে বেরলেও সেই দৃশ্য চোখে পড়বে, যেখানে মমতা ও অভিষেকের ছবি দেওয়া পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই ধরনের কাজ করার সংস্কৃতি বিজেপিরই আছে। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি। তবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক যাওয়ার আগে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রস্তুতি চরমে।

আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকও করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিমান থেকে নেমে সোজা চপারে করে ত্রিপুরার উদয়পুকুরে যাবেন তিনি। সেখানে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো নিয়ে কর্মসূচি শুরু করবেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন আগরতলায়। এ বার আর বিরোধী হিসেবে নয়, সরকার গঠনই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। আর তারই তোড়জোড় শুরু হচ্ছে অভিষেকের হাত ধরে। কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের টিম আটক হওয়ার পরও প্রতিবাদ জানাতে ত্রিপুরায় ছুটে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

২০০৫ থেকেই ইউনিট আছে ত্রিপুরায়। বিভিন্ন সময় সেই ইউনিত ভেড়েছে, আবার গড়েছেও। কিন্তু অস্তিত্ব একটা ছিলই ঘাসফুল শিবিরের। বছর কয়েক আগে ত্রিপুরার আস্তবল ময়দানে ভাষণও দিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বার সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল যে ভাবে বিস্তার লাভ করতে চাইছে, তারই কার্যক্রম শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে, আর সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। অভিষেক আগেই সাফ জানিয়েছেন যে দলের লক্ষ্য অন্য রাজ্যে বিরোধী তকমা পাওয়া নয়, শাসক দল হিসেবে জায়গা করে নেওয়া।

অন্যদিকে, আজ অভিষেকের কর্মসূচির আগে এ ভাবে তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঘাসফুল শিবির। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘এটা বিজেপিরই কাজ। বিজেপিরই রুচি। ত্রিপুরার মানুষ সব দেখছে, বুঝছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’ তবে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই কাজে দলের কোনও হাত নেই। আরও পড়ুন: পুরোটাই পরিকল্পিত নয় তো? অজন্তাকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পথে সিপিএম