TB Cases: কোভিড মহামারীর পর বেড়েছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা, উদ্বেগজনক রিপোর্ট দিল হু

WHO Report: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যক্ষ্মা রোগীর পরিসংখ্যান নিয়ে গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ করেছে হু। সেই রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ২৭ শতাংশ ভারতের। দেশে বর্তমানে প্রায় ২৮.২ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত। যার মধ্যে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৩ লক্ষ ৪২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

TB Cases: কোভিড মহামারীর পর বেড়েছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা, উদ্বেগজনক রিপোর্ট দিল হু
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2023 | 9:34 PM

ওয়াশিংটন: কয়েক দশক আগে দেশে মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছেছিল যক্ষ্মা (TB)। তারপর ক্রমাগত সরকারের পর্যবেক্ষণ, যক্ষ্মা টিকা দেওয়া, চিকিৎসা পরিষেবায় জোর দেওয়ার মাধ্যমে বর্তমানে যক্ষ্মা নিয়ে আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে। কিন্তু, এর মধ্যেও উদ্বেগের কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ভারতে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২৩’-এ এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যক্ষ্মা রোগীর পরিসংখ্যান নিয়ে গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ করেছে হু। সেই রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ২৭ শতাংশ ভারতের। দেশে বর্তমানে প্রায় ২৮.২ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত। যার মধ্যে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৩ লক্ষ ৪২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

হু-র রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের মধ্যে যক্ষ্মা রোগীর নিরিখে শীর্ষে ভারত। তার পরে রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া (১০ শতাংশ), চিন (৭.১ শতাংশ), ফিলিপিন্স (৭ শতাংশ), পাকিস্তান (৫.৭ শতাংশ) নাইজেরিয়া (৪.৫ শতাংশ), বাংলাদেশ (৩.৬ শতাংশ) এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো (৩ শতাংশ)।

যক্ষ্মা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ভারত শীর্ষে থাকলেও আগের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে হু-র রিপোর্টে প্রকাশিত। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৫৮ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিল। ২০২২ সালে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৯৯ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত। তবে বিশ্বের মধ্যে গড়ে প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে ১৩৩ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত। যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার

হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের ১২ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা বিশ্বের মধ্যে গড়ে ৫.৮ শতাংশ। যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম সিঙ্গাপুরে, ১ শতাংশ। আর তালিকার ১৪ তম স্থানে রয়েছে চিন। সেখানে যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যুর হার ৪ শতাংশ।

কোভিড মহামারীর পর যক্ষ্মা রোগী বেড়েছে

কোভিড মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থার সঙ্গে পরবর্তী অবস্থা খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, ২০২০ ও ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ৬০ হাজার জনের যক্ষ্মায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যু হার নয়, যক্ষ্মা আক্রান্তের হারও বেড়েছে। ২০২২ সালে ১৯২টি দেশের ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে হু-র যক্ষ্মার উপর পর্যবেক্ষণের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ এবং পুরানো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লিখিত।