অতীত থেকে শিক্ষা, দিল্লি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে রাহুলের বিতর্কিত টুইট সরাল টুইটার

চলতি সপ্তাহেই বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, "মা-বাবার চোখের জল শুধু একটাই কথা বলছে, তাদের মেয়ে, দেশের মেয়ে বিচার চায়। আমি ওনাদের সঙ্গে রয়েছি"।

অতীত থেকে শিক্ষা, দিল্লি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে রাহুলের বিতর্কিত টুইট সরাল টুইটার
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 11:54 AM

নয়া দিল্লি: নয় বছরের ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছে টুইটারও। তবে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের নোটিস পেতেই সেই বিতর্কিত ছবি সরাল টুইটার।

চলতি সপ্তাহেই বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন,  লেখেন, “মা-বাবার চোখের জল শুধু একটাই কথা বলছে, তাদের মেয়ে, দেশের মেয়ে বিচার চায়। আমি ওনাদের সঙ্গে রয়েছি”।

এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। কারণ, সেই ছবিতে নির্যাতিতার মা-বাবার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।  ভারতের ‘পকসো’ আইন অনুযায়ী ধর্ষিতা বা তাঁর পরিবারের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। বিষয়টি নজরে আসতেই টুইটার থেকে ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।

এমনিতেই কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি আইন অমান্য করে আইনী সুরক্ষা হারিয়েছে টুইটার। একাধিক পোস্ট ঘিরেও আইনি জটিলতায় সরিয়েছে এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইট। এ বার তাই বিপত্তি বাড়ার আগেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নিল টুইটার। রাহুল গান্ধীর ওই পোস্টের জায়গায় বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, “এই টুইটটি টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করায় তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছবিটি।

গত রবিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের নাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা ৯ বছরের নাবালিকা  শ্মশান থেকে ঠাণ্ডা জল আনতে যায়। সেখানেই শ্মশানের প্রধান পুরোহিত ও তাঁর চার সহকারী তাঁকে ধর্ষণ করে। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর দেহও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয় নির্যাতিতার পরিবারকে। আরও পড়ুন: ‘নির্দেশ অমান্য করাই এখন ট্রেন্ড’, সিবিআই-আইবির অসহযোগিতার অভিযোগ খোদ প্রধান বিচারপতির