‘নির্দেশ অমান্য করাই এখন ট্রেন্ড’, সিবিআই-আইবির অসহযোগিতার অভিযোগ খোদ প্রধান বিচারপতির
আদালতের নির্দেশ অমান্য করা এখন নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, " পছন্দসই রায় দেওয়া না হলেই বিচারবিভাগকে কালিমালিপ্ত করা হয়। যদি কোনও বিচারপতি পুলিশ বা সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানায়, তবে কোনও জবাব মেলে না।"
নয়া দিল্লি: ‘সুপ্রিম’ তোপের মুখে এ বার সিবিআই (CBI) ও আইবি (IB)। ধানবাদে বিচারপতি হত্যা মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ (NV Ramana) বলেন, “বিচারপতিদের সুরক্ষার বিষয়ে সিবিআই, আইবি-র মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলি একটুও সহযোগিতা বা সাহায্য করে না। বিচারপতিরা অভিযোগ জানালে পুলিশ ও সিবিআই কোনও জবাব দেয় না।”
সম্প্রতিই ধানবাদের সেশন আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি উত্তম আনন্দ খুন হন। এরপরই এক আইনজীবী সুরক্ষা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন। শীর্ষ আদালতের তরফেও আইনজীবী ও বিচারপতিদের সুরক্ষা নিয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেন, “গোটা দেশজুড়ে এমন বহু মামলা রয়েছে, যেখানে গ্যাংস্টার বা উচু মহলের কোনও ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। বিচারপতিদের মাঝেমধ্যেই হুমকি দেওয়া হয় এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে ,কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে। অনেক সময় সিবিআইকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হলেও তারা কোনও কিছুই করেন না।”
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি বা দুটি মামলার ক্ষেত্রে আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সিবিআই কিছুই করেনি। আমরা আশা করেছিলাম সিবিআইয়ের ব্যবহারে কিছু পরিবর্তন আসবে, কিন্তু কোনও পরিবর্তনই আসেনি। এটা দেখে আমরা খুবই দুঃখিত।”
আদালতের নির্দেশ অমান্য করা এখন নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “এটাই এখনকার ট্রেন্ড। পছন্দসই রায় দেওয়া না হলেই বিচারবিভাগকে কালিমালিপ্ত করা হয়। যদি কোনও বিচারপতি পুলিশ বা সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানায়, তবে কোনও জবাব মেলে না। বিচারবিভাগকে সিবিআই ও ইনটেলিজেন্স ব্যুরো কোনওভাবেই সাহায্য করছে না।”
ধানবাদের বিচারপতির মৃত্যু প্রসঙ্গেও প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ওই অঞ্চলটি কয়লা মাফিয়া রয়েছে, তা সকলেরই জানা। বিচারপতিদের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। কত বিচারপতির উপর হামলা চালানো হয়েচে, তার তালিকাও রয়েছে এবং দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।