Bengaluru Flight Collision : মাঝ আকাশে জোর রক্ষা! একটুর জন্য ভুবনেশ্বরগামী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াল কলকাতাগামী বিমান
Flight Collision : বেঙ্গালুরুর আকাশে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল দু’টি বিমান। গত ৭ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক-অফের পর ইন্ডিগোর দু’টি বিমান মাঝ আকাশে সংঘর্ষের মুখে পড়তে চলেছিল। তবে অল্পের জন্য বিমান দু’টি রক্ষা পায়।
বেঙ্গালুরু : বেঙ্গালুরুর আকাশে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল দু’টি বিমান। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে বেঙ্গালুরুর আকাশে এই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। গত ৭ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক-অফের পর ইন্ডিগোর দু’টি বিমান মাঝ আকাশে সংঘর্ষের মুখে পড়তে চলেছিল। তবে ব়্যাডার কন্ট্রোলারের তৎপরতায় অল্পের জন্য বিমান দু’টি রক্ষা পায়। জানা গিয়েছে, বিমান দু’টির একটি কলকাতাগামী ও অপর বিমানটি ভুবনেশ্বরগামী ছিল। ডিরেক্টোরেট অফ সিভিল এভিয়েশন বুধবার এই সম্ভাব্য দুর্ঘটনার বিষয়ে খোলসা করে। পাশাপাশি ডিরেক্টোরেট অফ সিভিল এভিয়েশনের তরফে জানানো হয় যে এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা আসল কারণ খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্ভাব্য এই দুর্ঘটনার বিশদ জানিয়ে ডিজিসিএ-র আধিকারিকরা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি সকালে ইন্ডিগোর দু’টি বিমান বেঙ্গালুরু বিমানবন্দ থেকে টেক অফ করে। তবে সেখানে ‘ব্রিচ অফ সেপারেশন’ হওয়ায় দু’টি বিমান মাঝ আকাশে খুবই কাছে চলে আসে। কলকাতাগীমা বিমানটির নম্বর ছিল ৬ই৪৫৫। ভুবনেশ্বরগামী বিমানটির নম্বর ছিল ৬ই৪২৬।‘ জানা গিয়েছে দু’টি বিমানই এয়ারবাস এ৩২০ ছিল। দু’টি বিমানে সব মিলিয়ে মোট ৪০০ যাত্রী ও ক্রু ছিলেন।
দু’টি বিমান পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে টেক-অফ করে। এরপর আকাশসীমায় ন্যূনতম বাধ্যতামূলক অনুভূমিক দূরত্ব লঙ্ঘন করে বিমানগুলি। এদিকে জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে ‘ব্রিচ অফ সেপারেশন’-এর বিষয়টি রিপোর্ট করা হয়নি। ডিজিসিএর প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর দুটি রানওয়ে পরিচালনা করে – উত্তর এবং দক্ষিণ। ৭ জানুয়ারি সকালে ফ্লাইটগুলি উত্তর রানওয়ে থেকে টেক অফ করছিল এবং দক্ষিণ রানওয়েতে বিমানগুলি অবতরণ করছিল। তবে পরে রানওয়ে পরিচালনার শিফট বদল হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র উত্তর রানওয়েটি চালু থাকবে। এই রানওয়েতেই এরপর বিমান টেক-অফ ও অবতরণ হতে থাকে। সেই সময় দক্ষিণ রানওয়েটি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তবে সেই সময়ই দক্ষিণ রানওয়ে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টাওয়ার সেই রানওয়ে থেকে কলকাতাগামী বিমানটিকে টেক অফ করার অনুমতি দেয়। সেই একই সময় উত্তর রানওয়ের টাওয়ার উত্তর রানওয়ে থেকে ভুবনেশ্বরগামী বিমানকে টেক-অফের অনুমতি দেয়। দুই টাওয়ারের মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য না থাকায় একই সময় দু’টি রানওয়ে থেকে বিমান টেক-অফের অনুমতি দেওয়া হয়। দু’টি বিমানই টেক-অফের পরে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পড়তে বেঁচে যায়। তবে এই ঘটনাটি কোনও লগবুকে ছিল না। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফেও ‘ব্রিচ অফ সেপারেশন’-এর বিষয়টি রিপোর্ট করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর দুই টাওয়ারের মধ্যকার যোগাযোগ না থাকার বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে ঘটনার কারণ হিসেবে। কলকাতাগামী বিমানটিতে ১৭৬ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। অপরদিকে ভুবেনশ্বরগামী বিমানে ২৩৮ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। দু’টি বিমান মিলিয়ে মোট ৪২৬ জন ছিলেন। মাঝ আকাশে এই দুই বিমানের সংঘর্ষ হতে তা মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা হত।
আরও পড়ুন : Budget 2022 : দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন এক বিদেশী অর্থনীতিবিদ, ফিরে দেখা ১৬২ বছরের বাজেট ইতিহাস