ধারে-কাছে ঘেঁষবে না করোনা, লকডাউন তুলতে রাজ্যগুলিকে ‘পঞ্চবাণ’ স্বরাষ্ট্রসচিবের
আনলকের শুরুতেই যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যের দোকান-বাজার গুলিতে ভিড় হচ্ছে, তাতে করোনাবিধি মানা হচ্ছে না বলেই জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।
নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমতেই শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। কিন্তু এক সপ্তাহেই দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো শহরে বাজার, শপিং মলে যে হারে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে, তাতে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক-গবেষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার ফের কেন্দ্রের তরফে করোনার তিন দাওয়াই- টেস্ট, ট্রাক ও ট্রিটমেন্টের পথ অনুসরণ করেই আনলক শুরু করার অনুরোধ করা হল।
কেন্দ্রের তরফে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে করোনা সংক্রমণ, বর্তমান চিত্র ও সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন। আনলকের ক্ষেত্রে কোভিডবিধি অনুসরণ, টিকাকরণে গতি আনার পাশাপাশি প্রথম থেকে যে তিনটি পন্থা- করোনা পরীক্ষা, রোগীর চিহ্নিতকরণ ও তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, তা ফের একবার তুলে ধরা হল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে করোনা টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টিকাকরণে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অজয় ভাল্লা। আনলকের বিষয়েও তিনি বলেন, “আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই বহু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিয়মবিধি আলগা করা হচ্ছে। তবে লকডাউন বা নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করেই নেওয়া উচিত বলে মনে করি। আনলক প্রক্রিয়ায় দোকানপাট খোলা, স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরাটা জরুরি, কিন্তু তা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে শুরু করা উচিত।”
আনলকের শুরুতেই যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যের দোকান-বাজার গুলিতে ভিড় হচ্ছে, তাতে করোনাবিধি মানা হচ্ছে না বলেই জানান তিনি। তবে আগামিদিনে ফের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গেলে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্য়ানিটাইজ়ার ব্যবহার, বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার মতো নিয়মবিধিগুলি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি বলেই জানান স্বরাষ্ট্রসচিব।
আরও পড়ুন: মাস্ক, সামাজিক দূরত্ববিধিতে কমেছে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়