Ashwini Vaishnaw: অনলাইন গেমিং কি এবার নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র? বড় ইঙ্গিত অশ্বিণী বৈষ্ণবের

Ashwini Vaishnaw: অনলাইন গেমিং সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রের তরফে আইন আনার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, আপাতত অনলাইন গেমিংয়ে নজরদারির বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত।

Ashwini Vaishnaw: অনলাইন গেমিং কি এবার নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র? বড় ইঙ্গিত অশ্বিণী বৈষ্ণবের
ছবি সৌজন্যে: সংসদ টিভি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2023 | 8:26 PM

নয়া দিল্লি: অনলাইন জুয়া এবং অবৈধ বেটিংয়ের ফাঁদে পা দিয়ে হতাশা কাড়ছে যুব সমাজকে। অনেকেই সেই হতাশা থেকে আত্মহত্য়ার মতো পথ বেছে নিচ্ছে। এই নিয়ে বুধবার সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মীরাটের বিজেপি সাংসদ রাজেন্দ্র আগরবাল। এই বিষয়ে কেন্দ্রের নজরদারির প্রশ্ন উঠলে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, অনলাইন গেমিংয়ে নজরদারির বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তবে যুব সমাজের উপর অনলাইন জুয়া এবং অবৈধ বেটিংয়ের প্রভাবের কথা মাথায় রেখেই এই অনলাইন গেমিং সেক্টরকে (Online Gaming Sector) নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে একটি আইন হওয়া দরকার বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এ দিন উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “সিনেমা, ক্রীড়া জগতের বড় বড় তারকারা বিভিন্ন অনলাইন গেমিংয়ের প্রচার করে থাকেন। আর তাতে অনেক কিশোর-কিশোরী ও যুব প্রজন্ম প্রলোভিত হয়ে এই গেমিংয়ের ফাঁদে পা দেন। আর এর থেকে নিরাশ হয়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় দেশের যুব প্রজন্ম। এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কোনও পদক্ষেপ করছে এবং হতাশা থেকে যুবক-যুবতীরা আত্মহত্য়া করছেন সাইবার অপরাধ আইনের অধীনে সরকারের কাছে কি এর কোনও হিসেব রয়েছে?”

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব বলেছেন, “অনলাইন জুয়া এবং অবৈধ বেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজে ডিজিটাল মিডিয়ার যে প্রভাব রয়েছে তার অনেক ভাল দিকও রয়েছে। সেরকম খারাপ দিকও রয়েছে। তার মধ্যে এটি অন্যতম।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সাংবিধানিক ব্যবস্থায় ৭ম শিডিউল লিস্ট ২ অনুযায়ী বেটিং ও জুয়া রাজ্যের নজরদারির মধ্যে পড়ে। ১৯ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে যারা পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের জায়গায় নতুন আইন এনেছে। আর ১৭ টি রাজ্যে এই আইনেই কিছু বদল আনা হয়েছে। এই আইনগুলি অনলাইন গেমিং ও জুয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত অনলাইন গেমিংয়ের বিষয়টি রাজ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।” অনলাইন গেমিংকে নিয়ন্ত্রণের জন্য় অনেকদিন ধরেই আইন আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। সেই বিষয়ে অশ্বিণী এ দিন আরও বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে কীভাবে এগোতে হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। সেখানে সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই জুয়া ও বেটিংকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরেও নীতি নির্ধারণেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই মর্মে সম্প্রতি অনলাইন গেমিংয়ের জন্য নীতি নির্ধারণের প্রথম পদক্ষেপ করা হয়েছে। সমাজে এর কী প্রভাব পড়তে পারে সরকার সেই বিষয়ে সচেতন। এই সেক্টরকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন করা যায় সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যমতে আসতে হবে।”

তারকারা এই ধরনের গেমিংয়ের প্রচার করার ফলে যুব প্রজন্মের মধ্য়ে খারাপ প্রভাব পড়ে। বিজেপি সাংসদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে তাঁদের জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেসবই বিজ্ঞাপনই আসুক তা যেন মার্জিতভাবে প্রকাশ করা হয়। যাতে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের উপর আসক্তির প্রভাব না পড়ে। এই অনলাইন গেমিংয়ের উপর যাতে আরও নিয়ন্ত্রণ আনা হয় সেই বিষয়ে সরকার অবগত।” সবশেষে তিনি বলেন, “আমার মতে এর উপর একটি কেন্দ্রীয় স্তরে আইন আনা উচিত।” প্রসঙ্গত,টাকার লেনদেন থাকে এমন অনলাইন গেমকে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীনে আনার কথাবার্তা অনেকদিন ধরেই চলছে। এর আগেও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই কেন্দ্রের তরফে অনলাইন গেমিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট নীতি বা নতুন আইন আনা হবে। এ দিনও এমনটাই জানালেন অশ্বিণী বৈষ্ণব।