Ashwini Vaishnaw: মন্ত্রী অশ্বিনীর মাস্টারক্লাস, হোয়াইট বোর্ডে মার্কার হাতে বোঝালেন সেমিকন্ডাকটরের ইতিবৃত্ত

Ashwini Vaishnaw: হাতে মার্কার নিয়ে হোয়াইট বোর্ডে ছবি এঁকে, লিখে গোটা বিষয়টি বোঝালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। কীভাবে একটি সিস্টেম্যাটিক পথে ভারতের সেমিকন্ডাকটর ইকোসিস্টেম বেড়ে উঠছে, সেই বিষয়ের উপর আলোকপাত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এতটাই সুন্দরভাবে বোঝালেন যে সেই ঘরে বসে থাকা কারও মনে আর কোনও সংশয় বা প্রশ্ন থাকার অবকাশই থাকল না।

Ashwini Vaishnaw: মন্ত্রী অশ্বিনীর মাস্টারক্লাস, হোয়াইট বোর্ডে মার্কার হাতে বোঝালেন সেমিকন্ডাকটরের ইতিবৃত্ত
অশ্বিনী বৈষ্ণবImage Credit source: TV9 Network
Follow Us:
| Updated on: Feb 29, 2024 | 11:15 PM

নয়া দিল্লি: সেমিকন্ডাকটর ক্ষেত্রে ভারতের আগামীর প্ল্যানিং কী? খুঁটিনাটি সব বোঝালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। হাতে মার্কার নিয়ে হোয়াইট বোর্ডে ছবি এঁকে, লিখে গোটা বিষয়টি বোঝালেন তিনি। কীভাবে একটি সিস্টেম্যাটিক পথে ভারতের সেমিকন্ডাকটর ইকোসিস্টেম বেড়ে উঠছে, সেই বিষয়ের উপর আলোকপাত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এতটাই সুন্দরভাবে বোঝালেন যে সেই ঘরে বসে থাকা কারও মনে আর কোনও সংশয় বা প্রশ্ন থাকার অবকাশই থাকল না।

অশ্বিনী বৈষ্ণব বোঝালেন, এই ইকোসিস্টেমটি মূলত তৈরি হয়েছে ডিজাইন, ফ্যাব এবং এটিএমপির উপর নির্ভর করে। এর সঙ্গে রয়েছে সার্কিট। এটিএমপি (ATMP) বলতে তাঁর ব্যাখ্যায়, অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং এবং প্যাকেজিং। এগুলির মাধ্যমে দেশে এক ব্যাপক আকারের ট্যালেন্ট পুল তৈরি হবে বলেই মনে করছেন তিনি। সেই ট্যালেন্ট পুলকে সবরকম গবেষণা ও উন্নয়নমূলক সুবিধা দেওয়া হবে।

দেশীয় প্রতিভা খোঁজায় জোর

গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করার সময় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বললেন, বর্তমানে ভারতে ইলেকট্রনিক ডিজাইন অটোমেশন (EDA) টুল সরবরাহের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় যে সংস্থাগুলি রয়েছে, তার মধ্যে ক্যান্ডেন্স, সিনোপসিস এবং সিয়েমেনস অন্যতম। এই টুলগুলির এক একটি লাইসেন্সের জন্য খরচ হয়ে ১০-১৫ কোটি টাকা। আর এক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার স্থির করেছে এই তিন সংস্থা যে সব টুলগুলি সাপ্লাই দেয়, সেই টুলগুলিকে কিনে ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে।

এর ফলে এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সরাসরি নিজেদের পড়ুয়াদের ক্লাসরুমে লাইভ টুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করতে পারবে। তাতে পড়ুয়াদের মধ্যে নতুন মোবাইল চিপের ডিজাইন তৈরির দক্ষতা, নতুন স্টার্টআপের দক্ষতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। একইসঙ্গে দেশে বর্তমানে যে তিন লাখ ইঞ্জিনিয়ারের একটি ট্যালেন্ট পুল রয়েছে, সেই ট্যালেন্ট পুল আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন তিনি।

মোদী সরকার কীভাবে দেশের চিপ প্রস্তুত ক্ষেত্রের বিকাশ করছে, সে কথাও এদিন তুলে ধরেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রীর কথায়, গত পাঁচ বছরে বিশ্বের অনেক দেশ যা করতে পারেনি, ভারত তা করে দেখিয়েছে।

ইকোসিস্টেমে জোর

লেন্স, কেমিক্যাল, গ্যাস এই তিনটি ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথায়, সরকার এখন চেষ্টা করছে দেশে একটি নতুন ইকোসিস্টেম নিয়ে আসার। এখন দেশে অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস যন্ত্রাংশ ডিজাইন করতে, তৈরি করতে ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। এটি দেশের সব ধরনের উৎপাদন ক্ষেত্রকে উপকৃত করবে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়ার ভাবনাকে নয়া সোপানে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।