Yogi Adityanath: সাড়ে ৪ বছরে একটাও দাঙ্গা হয়নি, আরও বড় ব্যবধানে জিতে ফিরব: আত্মবিশ্বাসী যোগী
Yogi Adityanath: আইনের শাসন ফিরেছে। উন্নয়ন হয়েছে। তাই মানুষ বিজেপির উপরই আস্থা রাখবেন, আশাবাদী যোগী।
লক্ষ্মৌ: সরকারের সাড়ে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সেখানেই তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ৩৫০ আসনে জয়লাভ করবে বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে যোগীর দাবি, গত সাড়ে বছরে তাঁর রাজ্যে একটিও দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। আগে সাম্প্রদায়িক অশান্তি উত্তর প্রদেশের রোজনামচা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন আইনের শাসন ফিরেছে। উন্নয়ন হয়েছে। তাই মানুষ বিজেপির উপরই আস্থা রাখবেন, আশাবাদী যোগী।
শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যোগী বলেন, “সরকার, সংগঠন এবং মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে জাতীয় স্তরে উত্তর প্রদেশ সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছে। সরকার পরিচালনার উপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। তাই আমাদের বিশ্বাস যে ২০২২ সালের নির্বাচনে আমরা ৩৫০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও জয়লাভ করব।” মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, “উত্তর প্রদেশে আগে দাঙ্গা একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ সাড়ে চার বছরে একটাও দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি।”
নির্বাচনের এখনও বেশ কয়েকমাস সময় বাকি রইলেও হিন্দুত্বের পোস্টারবয় যে এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন, সেটা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর পূর্বসূরিদের কটাক্ষ করে যোগীর খোঁচা, “আগের মুখ্যমন্ত্রীরা বাংলো বানানোর প্রতিযোগিতা করতেন। কিন্তু নতুন উত্তর প্রদেশে আমরা ৪২ লক্ষ গরিব মানুষের জন্য পাকা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। স্থান, জাত, ধর্ম নির্বিশেষে আমরা আইনের আওতায় থেকে অপরাধীদের মোকাবিলা করেছি। সমাজ বিরোধীদের দখলে থাকা ১৮০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Gang Rape: পটনার হোটেলে ‘গণধর্ষিতা’ কলকাতার সঞ্চালিকা! পদক্ষেপের কাতর আর্জি মোদী-নীতীশকে
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪০৩ টির মধ্যে ৩২৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। যা ছিল এক নতুন রেকর্ড। অতীতে উত্তর প্রদেশে কোনও রাজনৈতিক দল এহেন একতরফা ফল করতে পারেনি। কিন্তু যোগী মনে করেন, আগামী বছরের ফলাফল ২০১৭ সালকেও ছাপিয়ে যাবে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, সেবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা বিজেপির ইতিবাচক ফলের পক্ষে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ফলে যোগীর দাবি বাস্তবে কতটা ফলে, তা দেখার জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Babul Supriyo: রাজনৈতিক নেতাদের কেন মানুষ অপছন্দ করে? নিজের দিকেই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল বাবুল-বাণী