Uttar Pradesh: সরকারি অফিসে লাদেনের ছবি! চাকরি যায় যাক, রাখবেনই রাখবেন এই অফিসার
Uttar Pradesh: অফিসে ওসামা বিন লাদেরে ছবি রাখার জন্য সাসপেন্ড হলেন উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরন নিগম লিমিটেড বা ডিভিভিএনএল-এর এক মহকুমা আধিকারিক। ওই অফিসারের দাবি, লাদেন, বিশ্বের সেরা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।
লখনউ: মৃত্যুর ১১ বছর পরও ওসামা বিন লাদেন নামটা বললেই অনেকের বুক ছ্যাঁত করে ওঠে। শিশুসুলভ হাসিমুখে একের পর এক ভয়ঙ্কর নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছিল এই নিহত জঙ্গি নেতা। সেই সব দিনের স্মৃতি আজও বিশ্ববাসীর মনে দগদগে হয়ে রয়েছে। আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাতাকে গোটা বিশ্বই কুখ্যাত জঙ্গি নেতা হিসাবেই জানে এবং মানে। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি অফিসারের চিন্তা ভাবনাটা কিঞ্চিত আলাদা। তাঁর চোখে লাদেনের একটাই পরিচয়, ‘বিশ্বের সেরা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার’! আর চিন্তা-ভাবনার এই আকাশ-পাতাল তফাতের জেরে চাকরিটাই খোয়াতে বসেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই সরকারি অফিসারের নাম রবীন্দ্র প্রকাশ গৌতম। উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরন নিগম লিমিটেড বা ডিভিভিএনএল-এর এক মহকুমা আধিকারিক হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ, ফারুখাবাদ জেলায় তাঁর কার্যালয়ে নিহত এই বিশ্ব কাঁপানো সন্ত্রাসবাদীর ছবি রাখা ছিল। স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একেবারে নিজের টেবিলের উপরই লাদেনের একটি ছবি রেখেছিলেন ওই আধিকারিক। এমনকি, ছবিটির নিচে একটি ছোট নোটও লিখে রেখেছিলেন তিনি। তাতে লেখা ছিল, ‘শ্রদ্ধেয় ওসামা বিন লাদেন, বিশ্বের সেরা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে সরকারি সংস্থার আধিকারিকের কার্যালয়ে লাদেনের ছবি থাকার খবর ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। এক ভাইরাল ভিডিয়োর সূত্র ধরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন জেলা কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছায়। দ্রুত ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে, রবীন্দ্র প্রকাশ গৌতমকে তাঁর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অফিস থেকে লাদেনের ছবিটিও দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জেলা আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
তবে, বরখাস্ত হওয়ার পরও লাদেন ভক্তি যায়নি অভিযুক্ত আধিকারিক রবীন্দ্র প্রকাশের। সরকারি কার্যালয়ে একজন সর্বাধিক পরিচিত উগ্রপন্থীর ছবি রাখার পক্ষে সাফাইও দিয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র প্রকাশেরমতে, যে কোনও ব্যক্তিই কারোর কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। তাঁর দাবি, ওসামা বিন লাদেন ছিলেন বিশ্বের সেরা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। এমনকি, তদন্তের পর ফের কাজে বহাল হলে, ফের লাদেনের ছবি তাঁর কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবীন্দ্র প্রকাশ বলেছেন, ‘ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমার কাছে এর (ছবিটির) বেশ কয়েকটি কপি আছে’।
ওসামা বিন লাদেনের জীবনের অনেকটা অংশই এখনও রহস্যে মোড়া। সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে অর্থনীতি এবং বিজনেস অ্যামিনিস্ট্রেশনে ডিগ্রি অর্জন করেছিল। বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ডিগ্রি অর্জন করেছিল। সেই সঙ্গে ডিগ্রি ছিল পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেও। সে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার একটি কোর্সেও ভর্তি হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে, তৃতীয় বর্ষেই নাকি ওসামা সেই কোর্স ছেড়ে দিয়েছিল।