এক সপ্তাহ পেরিয়েও জারি উদ্ধারকার্য, জোশীমঠে উদ্ধার ৫৪ মৃতদেহ
এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আদিত্য প্রতাপ সিং বলেন, "তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে এখনও অবধি মোট আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রেনি গ্রাম থেকে আরও সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।"
জোশীমঠ: দেবভূমিতে মৃত্যু মিছিল। হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে হড়পা বান নেমে আসে। জলের তোড়ে ভেসে যায় ঋষিগঙ্গা ও তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রায় ১৫টি গ্রাম। বিপর্যয়ের দিন থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু করা হলেও বিগত কয়েকদিন ধরেই আশার আলো দেখছিল না উদ্ধারকারী দলগুলি। গতকাল থেকে একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বর্তমানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪-এ পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ ১৫০ জনেরও বেশি।
তপোবনের বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন সুড়ঙ্গে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ জন শ্রমিকের আশঙ্কায় জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। এনডিআরএফ, এসডিআরএফের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরাও উদ্ধারকার্যে সাহায্য করছেন। প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জন শ্রমিককে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধারকার্যে বেগ পেতে হয়। প্রায় ১২মিটার পরিষ্কার করার পরই জমে থাকা জল বেরিয়ে আসায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকার্য। পরে সুড়ঙ্গে ড্রিল করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দ্রুতগতিতে বাঁক নিতে গিয়েই উল্টে গেল ট্রাক, মৃত কমপক্ষে ১৫
গতকাল সকালেই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে দুটি ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গ ও নদীর পাড় থেকে। আজ এই বিষয়ে এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আদিত্য প্রতাপ সিং বলেন, “তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে এখনও অবধি মোট আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রেনি গ্রাম থেকে আরও সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে ২৪ ঘণ্টাই উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।” সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে মৃতদেহগুলি বের করে আনা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে বলেই জানান উদ্ধারকারী দলগুলির একজন।
A total of 8 bodies have been recovered from here (Tapovan tunnel) so far. Operation is still underway, we are working 24/7. 7 bodies have been recovered in Raini, so a total of 15 bodies have been recovered from the two work sites: Aditya Pratap Singh, Deputy Commandant, NDRF pic.twitter.com/Bjl0lJIMNc
— ANI (@ANI) February 15, 2021
অন্যদিকে, জোশীমঠের উপরিভাগেই একটি হ্রদ তৈরি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য অস্থায়ী লোহার সেতু তৈরি করা হলেও তাঁরা গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। আপাতত জঙ্গলেই রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মঞ্চে বক্তব্য পেশের সময় হঠাৎই কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, উৎকন্ঠা গুজরাতে