করোনার মাঝেই কুম্ভমেলা, কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত টিকার আবেদন উত্তরাখণ্ড সরকারের
রাজ্যের কোভিড কন্ট্রোল রুমের প্রধান ডঃ অভিষেক ত্রিপাঠী জানান, করোনা পরিস্থিতির মাঝেই কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। পূণ্যার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত ২০ হাজার টিকা পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
হরিদ্বার: ১২ বছর পর হতে চলেছে মহাকুম্ভ, তাই প্রস্তুতিও তুঙ্গে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কথা ভুললে চলবে না, তাই অতিরিক্ত সতর্কতায় বরাদ্দ ভ্যাকসিনের তুলনায় আরও বেশি ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাল উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand Government)।
মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হরিদ্বারে শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা (kumbh mela)। করোনা বিধি-নিষেধের মাঝেই পূণ্য অর্জনে গঙ্গার ঘাটে-ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন পূণ্যার্থীরা। অন্যদিকে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও। গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী তীবেন্দ্র সিং রাওয়াত (Trivendra Singh Rawat)-র উপস্থিতিতেই উত্তরাখণ্ডে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হয়। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকাদানের জন্য যে বরাদ্দ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে, সেটি ছাড়াও অতিরিক্ত ২০ হাজার করোনা টিকা পাঠানোর জন্য আবেদন করা হল রাজ্য সরকারের তরফে।
রাজ্যের কোভিড কন্ট্রোল রুমের প্রধান ডঃ অভিষেক ত্রিপাঠী জানান, করোনা পরিস্থিতির মাঝেই কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। পূণ্যার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত ২০ হাজার টিকা পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিং রোডেই ট্রাক্টর মিছিলের সিদ্ধান্ত অনড় কৃষকরা, ব্যর্থ পুলিসের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকও
অন্যদিকে, যারা করোনার ভয়ে গঙ্গা স্নানে যাবেন না, তাঁদের বাড়িতেই গঙ্গাকে পৌঁছে দেওয়ার অভিনব প্রচেষ্টা শুরু করেছে একটি সংস্থা। “আপকে দ্বার, পৌঁছায় হরিদ্বার” নামক একটি কর্মসূচিতে গঙ্গার জল বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মহাকুম্ভের জন্য হরিদ্বারের বিভিন্ন দেওয়াল জুড়ে পুরাণের উপর ভিত্তি করে নানা গ্রাফিটি বানানো হয়েছে।
এই গ্রাফিটি বানানোর জন্য হরিদ্বার-রুরকি উন্নয়ন পরিষদের তরফে “পেইন্ট মাই সিটি” নামক একটি কর্মসূচির উদ্বোধনও করা হয়েছে। কুম্ভমেলায় আগত পর্যটকদের কাছে ভারতীয় পুরাণের নানা কাহিনী ও গুরুত্ব তুলে ধরতেই একটি দল শহরের নানা প্রান্তে দেওয়াল জুড়ে আঁকার কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যপাল