রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যপাল

২০১৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার অভিযুক্তদের সাজা পূরণের আগেই মুক্তির প্রস্তাব দেয়। তবে এই সিদ্ধান্ত মঞ্জুর হতে গেলে প্রয়োজন রাজ্যপালের স্বাক্ষরের। দুই বছর কেটে গেলেও এখনও অবধি রাজ্যপাল সেই সিদ্ধান্ত মঞ্জুর বা খারিজ-কোনটিই করেননি।

রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যপাল
রাজীব গান্ধী। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2021 | 6:03 PM

নয়া দিল্লি: রাজীব গান্ধী (Rajiv Gandhi) হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে আগামি তিন-চারদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত (Banwarilal Purohit)। সুপ্রিম কোর্টের ধমকের মুখে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

১৯৯১ সালে ২১ মে তামিলনাড়ুতে একটি জনসভায় দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করে আততায়ীরা। এই ঘটনার সঙ্গে এলটিটিই (LTTE) সংগঠনের যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপরই পেরিয়াভালান, মুরুগান, সান্থাম, নলীনী শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস, জয়াকুমার ও রবিচন্দ্রন নামক সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ও তাঁদের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করা হয়।

২০১৬ সালে সাত অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া অবধি তাঁদের মুক্তির আবেদন জানান। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার অভিযুক্তদের সাজা পূরণের আগেই মুক্তির প্রস্তাব দেয়। তবে এই সিদ্ধান্ত মঞ্জুর হতে গেলে প্রয়োজন রাজ্যপালের স্বাক্ষরের। দুই বছর কেটে গেলেও এখনও অবধি রাজ্যপাল সেই সিদ্ধান্ত মঞ্জুর বা খারিজ-কোনটিই করেননি।

আরও পড়ুন: রাম মন্দির নির্মাণে ‘সামান্য অনুদান’ গম্ভীরের, দিলেন ১ কোটি টাকা

আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগীর বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে, “এই পর্যায়ে আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাই না। কিন্তু সরকারের প্রস্তাব দুই বছর ধরে আটকে রয়েছে, এই বিষয়েও আমরা খুশি নই।”

তামিল নাড়ু সরকারের তরফে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিগত বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারংবার এই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। এই হত্যাকাণ্ডকে “অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নৃশংস অপরাধ” বলে অ্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হলে তা অত্যন্ত খারাপ নজির স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এইধরনের অপরাধীদের দ্বারা বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হবে।” তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র তরফেও জানানো হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পিছনে যে বড় চক্রান্ত ছিল, সে বিষয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘তেজস্বী যাদব বলছি’, এক ধমকেই সুর নরম জেলাশাসকের