Bihar Police: কর্তব্যে গাফিলতির ‘শাস্তি’, লকআপে মাঝরাত অবধি আটকে রাখা হল ৫ পুলিশ অফিসারকেই!

Bihar Police: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ সুপার থানায় আসেন। তিনি কেস ফাইলগুলি খতিয়ে দেখছিলেন।

Bihar Police: কর্তব্যে গাফিলতির 'শাস্তি', লকআপে মাঝরাত অবধি আটকে রাখা হল ৫ পুলিশ অফিসারকেই!
লকআপে আটক পুলিশ অফিসাররাই!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 7:29 AM

পটনা: লকআপ তৈরি করা হয় বন্দিদের আটকে রাখার জন্য। কিন্তু তার ভিতরে যদি পুলিশ কর্মীরাই আটক হয়ে থাকেন, তবে? অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। পুলিশ আধিকারিকরাই বন্দি লকআপে। এটা নাকি তাঁদের শাস্তি! থানার লকআপে পুলিশ কর্মীদেরই ঢুকিয়ে  আটকে রাখা নিয়েই শুরু বিতর্ক।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নাওয়াদা শহরের। ওই থানার পাঁচজন পুলিশকর্মীকেই লকআপের ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে, লকআপের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌরব মাঙ্গলার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ৮ সেপ্টেম্বরের। পুলিশ সুপার গৌরব মাঙ্গলা নাভাদা নগর পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিলেন পরিদর্শনের জন্য। সেখানেই কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে পাঁচ পুলিশ কর্মীকে লকআপে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ সুপার থানায় আসেন। তিনি কেস ফাইলগুলি খতিয়ে দেখছিলেন। সেখানেই তিনি কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের কর্তব্য়ে গাফিলতি খুঁজে পান। এরপরই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ওই পুলিশ কর্মীদের লকআপে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। যদিও কী গাফিলতি ছিল, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

পুলিশ সুপার গৌরব মাঙ্গলা গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেন। থানার ইনচার্জ  বিজয় কুমার সিং-ও  সেই কথাতেই সম্মতি জানান।  যদিও পরেরদিনই হোয়াটসঅ্যাপে সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে দেখা যায় সাব ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন পাসওয়ান, রামরেখা সিং, এএসআই সন্তেষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিং ও রামেশ্বর উরাওনকে লকআপের ভিতরে বন্দি থাকতে দেখা যায়। দুই ঘণ্টা বাদে প্রায় মাঝরাতে তাদের লকআপ থেকে বেরতে দেওয়া হয়।

বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং জানান, তিনি ওই ঘটনার পরই পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।