Ajit Doval on Agnipath: ‘অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ…’, অগ্নিপথ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অজিত ডোভাল

Ajit Doval on Agnipath: 'অগ্নিপথ' নিয়োগ ব্যবস্থা নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে, মঙ্গলবার (২১ জুন) এই বিষয়ে প্রথমবারের জন্য মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কী বললেন তিনি?

Ajit Doval on Agnipath: 'অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ…', অগ্নিপথ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অজিত ডোভাল
'অগ্নিপথ' সময়ের দাবি, বললেন অজিত ডোভাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 2:39 PM

নয়া দিল্লি: ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগ ব্যবস্থা নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে, প্রথমবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মঙ্গলবার (২১ জুন) সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি দৃঢ়ভাবে অগ্নিপথ প্রকল্পের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, অগ্নিপথ প্রকল্প সময়ের দাবি। তিনি আরও জানান, যুদ্ধের পদ্ধতি এখন ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেনাতেও বদল দরকার। এখনও যদি আগে যা চলছিল, সেই পদ্ধতিই চালিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না ভারত। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

অজিত ডোভাল বলেছেন, ‘ বর্তমানে পুরো যুদ্ধ ব্য়বস্থাতেই একটা বিরাট পরিবর্তন আসছে বলে সতর্ক করেছেন অজিত ডোভাল। তিনি বলেছেন, ‘গোটা বিশ্ব এখন যোগাযোগবিহীন যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লড়াই হচ্ছে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে। আমাদের যদি আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়, তবে আমাদের পরিবর্তন করতেই হবে।নিরাপত্তা একটি গতিশীল ধারণা। এটি একত জায়গায় থেমে থাকতে পারে না। ভারতকে জাতীয় স্বার্থ এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতেই হবে। অগ্নিপথ একটি স্বতন্ত্র স্কিম নয়। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রধান অগ্রাধিকারগুলির অন্যতম ছিল, ভারতকে সুরক্ষিত এবং শক্তিশালী করা। এর জন্য অনেক পথ, অনেক পদক্ষেপের প্রয়োজন।’

কী কী ধরণের পদক্ষেপের কথা বলছেন অজিত ডোভাল? এনএসএ চারটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন – সামরিক সরঞ্জাম, ব্যবস্থাগত ও কাঠামোগত বদল, প্রযুক্তিগত বদল এবং লোকবল এবং নীতিতে বদল। তাঁর মতে, এই সকল পরিবর্তন হওয়া উচিত ভবিষ্যৎমুখী। তিনি আরও দাবি করেছেন, অগ্নিবীর ব্যবস্থায় কোনওভাবেই ভারতীয় সামরিক বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়বে না। কারণ, পুরো সেনাবাহিনী অগ্নিবীরদের নিয়ে গঠিত হবে না। যারা চার বছর পর বাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ পাবে, তাদের কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিছু সময়ের পর তাদের অভিজ্ঞতাও বাড়বে। এছাড়া রেজিমেন্ট নিয়েও কোনও উদ্বেগের জায়গা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। প্রতিটি রেডিমেন্টই আগের মতোই চলবে। রেজিমেন্ট ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, অগ্নিবীররা সামরিক পরিষেবা থেকে অবসরের পর জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকতে পারে,এই ধারণা একেবারেই ভুল। তাঁর মতে, অসামরিক নাগরিকরা আইন মেনে চললেই সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে তিনি অগ্নিবীর বিক্ষোভকারীদেরও এক হাত নিয়েছেন অজিত ডোভাল। তিনি জানান, কোনও সরকারি প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ থাকতেই পারে। সংবিধান সকলকে প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, হিংসার ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। ডোভাল বলেন, ‘এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে, যথাযথ তদন্তের পরে আমরা বলতে পারব এইসব ঘটনার পিছনে কারা জড়িত ছিল। এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা জরুরি।’