Suvendu Adhikari: ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সবথেকে বড় দুর্নীতি…’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠকে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্য়ুতে বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতার। বাংলায় একশো দিনের কাজের টাকা ঘিরে যা হয়েছে, তা স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের সবথেকে বড় দুর্নীতিতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari: 'স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে সবথেকে বড় দুর্নীতি...', বিস্ফোরক শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র। Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2023 | 4:23 PM

নয়াদিল্লি: একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রাজধানীর বুকে আন্দোলনের সুর চড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। একইসঙ্গে পাল্টা সুর চড়াচ্ছে বিজেপি শিবিরও। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আজ দেখা করবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একশো দিনের কাজের টাকা ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন তিনি। তার আগে দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠকে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্য়ুতে বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতার। বাংলায় একশো দিনের কাজের টাকা ঘিরে যা হয়েছে, তা স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের সবথেকে বড় দুর্নীতিতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন শুভেন্দু।

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এদিন বললেন, “একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। যদি সঠিক তদন্ত হয়, তাহলে এটা দেশের সবথেকে বড় দুর্নীতি হবে বলে আমার মনে হয়। স্বাধীনতার পর এটাই সবথেকে বড় দুর্নীতিতে পরিণত হবে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন শুভেন্দু জানালেন, আধার কার্ডের সঙ্গে জব কার্ড লিঙ্ক করানোর আগে কী পরিস্থিতি ছিল, আর এখন কী পরিস্থিতি হয়েছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, জব কার্ড ও আধার কার্ডের লিঙ্ক করানোর আগে (২০২২ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত) বাংলায় জব কার্ড হোল্ডার ছিলেন ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৭ জন। আর আধার লিঙ্ক করানোর পর (২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা কমে হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৩২ জন। জানালেন, প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ জব কার্ড বাতিল হয়েছে বাংলায়।

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এই ১ কোটি ৩২ লাখের মধ্যে যুক্তিগ্রাহ্য কারণে জব কার্ড বাতিল হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ। কিন্তু তারপরও এক কোটিরও বেশি জব কার্ড বাতিল হয়েছে অজানা কারণে। আর এখানেই বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে সন্দেহ বিরোধী দলনেতার। বললেন, “এক কোটিরও বেশি ভুয়ো জবকার্ডে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা সাইফন হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে।”