DPDP 2023: ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল কী? কীভাবে এই আইন উপভোক্তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করবে?
Digital Personal Data Protection Bill 2023: বছর ছয়েক আগেই গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিলটি পাস হলে, ভারতের তথ্য সুরক্ষার মূল কাঠামোয় পরিণত হবে এই আইন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের আগে তাদের সম্মতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
নয়া দিল্লি: আসন্ন বাদল অধিবেশনে একটি নতুন বিল পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার, ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ২০২৩ বা ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২৩। সরকাররে দাবি, এই বিলটি ডিজিটাল ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং কীভাবে তারা সেই তথ্য আদান-প্রদান করবে, তা ঠিক করার স্বাধীনতা দেবে। এই বিলে আইন ভঙ্গকারীদের জন্য ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করার প্রস্তাব রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ডিপিডিপি বিলের খসড়া অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বছর ছয়েক আগেই গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিলটি পাস হলে, ভারতের তথ্য সুরক্ষার মূল কাঠামোয় পরিণত হবে এই আইন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের আগে তাদের সম্মতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২৩ কী?
এই বিলের লক্ষ্য, ভারতে উপভোক্তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখা। বড় বড় কর্পোরেশন এবং গ্রাহকরা যদি তা করতে ব্যর্থ হয় এবং বিলটিতে বলা নিয়মগুলি লঙ্ঘন করে, তাহলে মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। ‘গোপনীয়তার অধিকার’ হিসেবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ, তা সঞ্চয় এবং প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী, মোবাইল অ্যাপ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সরকারি, বেসরকারি সব সংস্থাকেই তথ্য সংগ্রহ এবং তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সম্মতি চাইতে হবে। অর্থাৎ উপভোক্তাদের গোপনীয়তার অধিকার এই বিলে অনেক বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে। একই সঙ্গে উপভোক্তাদের তথ্য আগের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষিত হবে।
তথ্য সুরক্ষা বোর্ড কী?
এই আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, তার তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড স্থাপন করবে। গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত সকল অভিযোগের সমাধান করার জন্য, বিচারকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করবে এই বোর্ড। বোর্ডের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ করবে কেন্দ্র। আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত পক্ষগুলি তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের সামনে তাদের যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মামলা নিষ্পত্তির খরচ নেওয়া এবং জরিমানা ধার্য করার ক্ষমতাও দেওয়া হবে এই বোর্ডকে। নাগরিকরাও এই বোর্ডে গিয়ে সরাসরি তাদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পারবেন।