DigiYatra: ‘ডিজিযাত্রা’ কী, কীভাবে এটা কাজ করে? ভ্রমণের সময় কীভাবে পাবেন এর সুবিধা?

DigiYatra: আপাতত, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই অ্যাপের বিটা সংস্করণ চালু করা হয়েছে। কী এই অ্যাপ? কীভাবে এটা কাজ করে? ভ্রমণের সময় কীভাবে পাবেন এর সুবিধা?

DigiYatra: 'ডিজিযাত্রা' কী, কীভাবে এটা কাজ করে? ভ্রমণের সময় কীভাবে পাবেন এর সুবিধা?
ডিজিযাত্রা অ্যাপের মাধ্যমে নির্বিঘ্ন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন যাত্রীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 2:53 PM

নয়া দিল্লি: ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছেন ডিজিযাত্রা (DigiYatra) অ্যাপের। আপাতত, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই অ্যাপের বিটা সংস্করণ চালু করা হয়েছে। বিমানবন্দরে একাধিক পরিচয় পরীক্ষা এড়িয়ে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণের সুবিধা দিতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ১৮ অগস্ট থেকে হায়দরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও তিন মাসের জন্য ‘ডিজিযাত্রা’ অ্যার চালু করা হবে। তবে শুধুমাত্র এই তিন বিমানবন্দরেই নয়, ২০১৮ সালের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে দিল্লি, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি, কলকাতা, বারাণসী, পুনে এবং বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরেও এই অ্যাপ পরিষেবা চালু করবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (AAI)। কিন্তু কি এই অ্যাপ? যাত্রীরাই বা কীভাবে এই অ্যাপের সুবিধা পাবেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক –

ডিজিযাত্রা কী?

এটি হল ‘ফেস ডিটেকশন’ অর্থাৎ ‘মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি’র উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি বায়োমেট্রিক সক্ষম অ্যাপ। এই অ্যাপ পরিষেবা চালু হলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের পরিচয়জ্ঞাপক নথিপত্র প্রদর্শন করতে হবে না। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, বিমানবন্দরে প্রবেশ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাচাই এলাকা এবং বিমানের বোর্ডিং প্রক্রিয়ার মতো সমস্ত চেকপয়েন্টে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুততা আসবে। কারণ প্রতিটি চেকপয়েন্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে। যাত্রীদের মুখই তাঁদের পরিচয়জ্ঞাপক নথি হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পরিচয় প্রমাণ, ভ্যাকসিন শংসাপত্র এবং বোর্ডিং পাস সবই থাকবে।

শুধু যে বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় দ্রুততা আসবে তাই নয়, ডিজিযাত্রা অ্যাপ পরিষেবা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও কঠোর করবে বলে দাবি করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স ডিপার্চার কন্ট্রোল সিস্টেমের সঙ্গে যাচাই করার ফলে, শুধুমাত্র মনোনীত যাত্রীরাই টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি কোনও বিমানবন্দরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, প্রোটোকল, উড়ানের সময় এবং অপেক্ষার সময় সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্যও পাবেন যাত্রীরা।

কীভাবে ডিজিযাত্রার সুবিধা পাওয়া যাবে?

বর্তমানে ডিজিযাত্রা অ্যাপের একটি বিটা সংস্করণ গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাপটি অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরেও পাওয়া যাবে। যাত্রীদের সেখান থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর, সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে তার ফোন নম্বর এবং আধার কার্ডের বিশদ অ্যাপে নিবন্ধিত করতে হবে। তারপর, যাত্রীকে একটি সেলফি তুলতে হবে, টিকাকরণের বিবরণ দিতে হবে এবং বোর্ডিং পাসটি অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করতে হবে। তাহলেই যাত্রীরা বিমানবন্দরে নির্বিঘ্নে ভ্রমণে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে ডিজিযাত্রা অ্যাপ

ডিজিযাত্রা কতটা নিরাপদ?

ডিজিযাত্রা মোবাইল অ্যাপটি একেবারেই নিরাপদ। কারণ, এই অ্যাপে কোনও যাত্রীর বায়োমেট্রিক বিবরণ সংশ্লিষ্ট যাত্রীর মোবাইলেই সংরক্ষিত থাকবে। সেই তথ্য কারোর সঙ্গে শেয়ার করা হবে না। পাশাপাশি এই অ্যাপ ব্যবহার করাটা সম্পূর্ণরূপে যাত্রীর ইচ্ছাধীন। কেউ চাইলে ব্যবহার করতে পারেন, আবার নাও পারেন। কারণ, এর পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলিতে আগের মতোই স্বাভাবিক নন-বায়োমেট্রিক বোর্ডিং প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।

ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ডিজিযাত্রা

এক বিবৃতিতে, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ডিজিযাত্রা অ্যাপের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই টার্মিনালে ডিজিযাত্রা অ্যাপের পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রায় ২০,০০০ যাত্রী পরীক্ষামূলকভাবে নতুন সুবিধাটি ব্যবহার করে অনায়াসে এবং নিরাপদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। বর্তমানে, ভিস্তারা এয়ারলাইন্স এবং এয়ারএশিয়া – এই দুটি এয়ারলাইন্স ডিজিযাত্রার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।