Monkeypox: করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর মাঙ্কিপক্স? WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী বললেন এই কথা…

WHO on Monkeypox: মাঙ্কিপক্স করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় বেশি ভয়ঙ্কর কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, "এই দুই ভাইরাসের মধ্যে তুলনা করা চলে না। সীমীত তথ্য থাকলেও, মাক্সিপক্স সম্পূর্ণ আলাদা একটি ভাইরাস।"

Monkeypox: করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর মাঙ্কিপক্স? WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী বললেন এই কথা...
বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 7:18 AM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আমূল বদলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। এবার করোনার দোসর হিসাবে জুটেছে মাঙ্কিপক্সও। তবে এখনও সচেতন নন বহু মানুষ। বিশ্বের নানা প্রান্তে মাঙ্কিপক্সের ছড়িয়ে পড়া আসলে সাধারণ মানুষের ‘ঘুম ভাঙানোর ডাক’, মঙ্গলবার এমনটাই বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, “মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়া আসলে ঘুম ভাঙানোর ডাক। আমাদের সর্বদা এইধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ান নিয়ে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে”। এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১৯৭৯-৮০ সাল থেকে স্মলপক্সের টিকাকরণ বন্ধ রয়েছে। গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবাইটেই উল্লেখ করা রয়েছে, স্মলপক্স নিরাময়ের জন্য যে টিকা ব্যবহার করা হয়েছিল, তা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয়। এছাড়া বর্তমানে নতুন ভ্য়াকসিনও আবিষ্কার করা হয়েছে,যা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। তবে হু-র প্রধান বিজ্ঞানী জানান, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য স্মলপক্সের ভ্যাকসিন ব্যবহারও কার্যকরী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্মলপক্সের যে ভ্যাকসিন রয়েছে, তা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ভ্যাকসিন। তবে ডোজ়ের সংখ্যা এখনও সীমীত। অনেক দেশই আগে থেকে এই ভ্যাকসিন মজুদ করে রাখছে দুর্ঘটনাবশত বা জৈবিক কারণে যদি স্মলপক্স সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য।”

মাঙ্কিপক্স করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় বেশি ভয়ঙ্কর কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, “এই দুই ভাইরাসের মধ্যে তুলনা করা চলে না। সীমীত তথ্য থাকলেও, মাক্সিপক্স সম্পূর্ণ আলাদা একটি ভাইরাস। এটি করোনার মতোই দ্রুতগতিতে মিউটেট করে এবং ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণেই ক্রমাগত জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং প্রাপ্ত তথ্য বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন।”

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতে চারজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ  মিলেছে। এরমধ্যে তিনজন কেরলের বাসিন্দা, একজন দিল্লির। কেরলের তিন বাসিন্দার সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস থাকলেও, দিল্লির আক্রান্ত যুবক মানালিতে একটি পার্টিতে গিয়েছিল সম্প্রতি। সেখান থেকে ফেরার পরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তেলঙ্গানাতেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ এক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে।