৬ বছর পর আচমকা প্রত্যাহার, ঠিক কেন ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে RBI?
RBI withdrawing Rs 2,000 notes: শুক্রবার ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার এই নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কিন্তু কেন?
নয়া দিল্লি: শুক্রবার ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিকে অবিলম্বে ২০০০ টাকার নোট দিতে নিষেধ করেছে আরবিআই। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাহকদের তাদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে বা জমা করতে বলা হয়েছে। তবে, এরপরও ২০০০ টাকার নোটগুলির আইনি বৈধতা থাকবে এবং সেগুলি দিয়ে বৈধ লেনদেন করা যাবে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ২০০০ টাকার নোটটি চালু করা হয়েছিল। সেই সময়ে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ায়, বাজারে মুদ্রা নোটের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। তবে আরবিআই এদিন জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার এই নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? ঠিক কী কারণে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই? আসুন জেনে নেওয়া যাক –
আরবিআই জানিয়েছে, ২০০০ টাকার ব্যাঙ্ক নোট প্রত্যাহার করার অন্যতন কারণ হল, এই নোটের ব্যবহার হ্রাস। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, দেখা গিয়েছে সাধারণত লেনদেনের জন্য এত বেশি মূল্যের ব্যাঙ্কনোট জনসাধারণ ব্যবহার করে না। গত কয়েক বছর ধরে এই নোটের ব্যবহার ক্রমে কমেছে। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, বাজারে প্রচলিত ব্যাঙ্কনোটগুলির মধ্যে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে মাত্র ১০.৮ শতাংশ।
আরবিআই আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর, বাজারে মুদ্রা নোটের ঘাটতি দ্রুত মেটাতে ২০০০ টাকার নোট প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু, বর্তমানে পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে। ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার মতো অন্যান্য মূল্যের ভারতীয় নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। যা, সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই, যে উদ্দেশ্যে ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে মনে করছে আরবিআই।
এছাড়াও, আরবিআই ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করেছে। এই নীতি অনুযায়ী, জনসাধারণের কাছে ভাল গুণমানের নোটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে আরবিআই। ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেই। ২০০০ টাকার নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। অর্থাৎ, সেই সময়ে ছাপা নোটগুলি তাদের সম্ভাব্য আয়ুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, সেগুলি আর ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। এই কারণেও প্রত্যাহার করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট।