Adhir Ranjan Chowdhury: ‘বাঙালি বলে ভুল বলেছি, ক্ষমা চাইব না ভন্ডদের কাছে ‘! ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে পাল্টা আক্রমণ অধীরের

Adhir Ranjan Chowdhury: 'রাষ্ট্রপত্নী' বিতর্কে সাফাই দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর দাবি, তিনি বাঙালি বলেই এই ভুল করে ফেলছেন।

Adhir Ranjan Chowdhury: 'বাঙালি বলে ভুল বলেছি, ক্ষমা চাইব না ভন্ডদের কাছে '! 'রাষ্ট্রপত্নী' বিতর্কে পাল্টা আক্রমণ অধীরের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 6:50 PM

নয়া দিল্লি: “আমি বাঙালি এবং হিন্দিতে সরগর নই। তাই ভুল করে মুখ ফসকে বলে ফেলেছি। ভুল স্বীকতার করতে আমি রাজি।” ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য নিয়ে সাফাই দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কোনওভাবেই অসম্মান করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। অধীর বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন, কিন্তু “পাখন্ডীদের” (ভন্ডদের) কাছে ক্ষমা চাইবেন না। স্পষ্টতই, তাঁর “পাখন্ডী” আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বিজেপি দল। এই বিষয়ে বিজেপিকে “তিলকে তাল” করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার, বিজয় চকে কংগ্রেস সাংসদরা সনিয়া গান্ধীর জেরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। সেই সময়ই সাংবাদিকদের সামনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপত্নী বলে উল্লেখ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। এদিন, এই বিষয় নিয়ে সংসদে তীব্র হইচই হয়। বিজেপি সাংসদরা সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন অচল করে দেন এবং দাবি করেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এরপরই এই বিষয়ে সংসদে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর অফিসে সভানেত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী। তারপর সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি অসাবধানতাবশত ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি একবার ব্যবহার করেছিলাম। মুখ ফসকে বলেছিলাম। আমি কখনই রাষ্ট্রপতির প্রতি কোনও অসম্মান প্রদর্শন করতে চাইনি।”

তিনি আরও দাবি করেন, ওই কথা বলার পরপরই তিনি নিজের ভুল ধরতে পেরেছিলেন। অধীর দাবি করেন, মিডিয়াকর্মীদের তিনি ওই ভিডিয়োটি না দেখানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে, তাঁরা সেই কথা শোনেননি। আর বিজেপি ওই একটি ভুল শব্দ নিয়ে তিলকে তাল বানাচ্ছে। কারণ, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির বলার কিছু নেই। তাই তারা ‘মসলা’ খুঁজছে। পরে এক ভিডিও বার্তায় অধীর বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রপতি, সে তিনি ব্রাহ্মণ হোক বা আদিবাসী, সকলের কাছেই তিনি সম্মানীয়। আমরা গতকাল যখন বিজয়চকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম, সেই সময় সাংবাদিকরা আমায় প্রশ্ন করেছিলেন যে, আমরা কোথায় যেতে চাই। আমি বুল করে একবার রাষ্ট্রপত্নী কথাটা বলে ফেলেছিলাম। আমি সাংবাদিকদর বলেছিলাম যাতে ওই ভুল মন্তব্যের ভিডিও না দেখানো হয়। এখন বিজেপি এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে।”

কংগ্রেস নেতা আরও জানিয়েছেন, পরশুদিন, অর্থাৎ, শনিবার তিনি নয়া রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর অসাবধানতাবশত করা মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে থাকেন তবে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবেন। অধীর বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছি এবং তার কাছে ক্ষমা চাইব, তবে এই ‘পাখণ্ডীদের’ কাছে নয়।”