‘মা মরে যাবে, দয়া করে অক্সিজেন কেড়ে নেবেন না’, মাকে বাঁচাতে পুলিশের পায়ে লুটিয়ে পড়ল যুবক

ভিডিয়োয় ওই যুবককে বলতে শোনা যায়,"প্লিজ স্যার, কোথা থেকে আমি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করব? আমি পরিবারের লোকজনদের কথা দিয়েছি যে মাকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাব।"

'মা মরে যাবে, দয়া করে অক্সিজেন কেড়ে নেবেন না', মাকে বাঁচাতে পুলিশের পায়ে লুটিয়ে পড়ল যুবক
ভাইরাল হওয়া ওই দৃশ্য।
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2021 | 2:50 PM

আগ্রা: “দয়া করে অক্সিজেন নেবেন না, আমার মা মারা যাবে”, করোনা আক্রান্ত মায়ের প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে কাতর আবেদন জানালেন এক যুবক। তবুও কেউ শুনল না তাঁর অনুরোধ। হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার অ্যাম্বুলেন্সে চেপে চলে গেল অজানা গন্তব্যে। এমনই অমানবিক দৃশ্য দেখা গেল উত্তর প্রদেশের আগ্রায়।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সঙ্কট। কেন্দ্রের তরফে নানা ব্যবস্থা করা হলেও বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে প্রতিনিয়তই শোনা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই বলে জানালেও সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ধরা পড়ছে হাসপাতালগুলিতে। সোমবার বিকেলে এমনই চিত্র ধরা পড়ল আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, হাসপাতাল থেকে দুই ব্যক্তি অক্সিজেন সিলিন্ডার বের করে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ভরছেন। পাশে পাহারায় রয়েছে দুই পুলিশকর্মী। পিপিই স্যুট পরা এক যুবক তাঁদের বারবার অনুরোধ করছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার যেন না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তাঁর মা মারা যাবেন। কান্নায় ভেঙে পড়া ওই যুবক হাত জোড় করে, মাটিতে শুয়ে পড়লেও পুলিশকর্মীরা তাঁর আবেদনে কোনও ভ্রুক্ষেপ করেন না।

ভিডিয়োয় ওই যুবককে বলতে শোনা যায়,”প্লিজ স্যার, কোথা থেকে আমি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করব? আমি পরিবারের লোকজনদের কথা দিয়েছি যে মাকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাব।”

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মায়ের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। তাঁর অভিযোগ, মায়ের জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে আগ্রা পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তায় পুলিশ সুপার জানান, দুদিন আগে রাজ্যে অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল এবং সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজস্ব অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালগুলিতে দান করছিলেন। ভিডিয়োয় যে যুবককে অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে, তিনি তাঁর আত্মীয়ের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দিতে বলছিলেন। কারোর অক্সিজেন কেড়ে নেওয়া হয়নি। এই ধরনের ভিডিয়োর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা ভয়ে মুখ ফেরাল গোটা গ্রাম, সাইকেলে স্ত্রীর মৃতদেহ চাপিয়ে সৎকার স্থানের খোঁজ বৃদ্ধের