Youth congress: রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের সমাবেশের বাইরে ‘ডিগ্রিধারীদের জুতো পালিশ, পাকোড়া স্টল’

Degree Holder Shoes Polish, Pakoda stall: রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর), নয়া দিল্লির রামলীলা ময়দানে 'মেহঙ্গাই পার হাল্লা বোল সমাবেশ'এর আয়োজন করেছে কংগ্রেস। আর সেই সমাবেশের বাইরে দেখা গেল এক অভিনব দোকান, যার নাম 'ডিগ্রিধারীদের জুতো পালিশ, পাকোড়া স্টল'!

Youth congress: রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের সমাবেশের বাইরে 'ডিগ্রিধারীদের জুতো পালিশ, পাকোড়া স্টল'
যুব কংগ্রেস কর্মীদের পাকোড়ার দোকান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 4:30 PM

নয়া দিল্লি: রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর), নয়া দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘মেহঙ্গাই পার হাল্লা বোল সমাবেশ’এর আয়োজন করেছে কংগ্রেস। আর সেই সমাবেশের বাইরে দেখা গেল এক অভিনব দোকান, যার নাম ‘ডিগ্রিধারীদের জুতো পালিশ, পাকোড়া স্টল’! যেখানে, ডিগ্রিধারী যুবকদের দেখা গেল জুতো পালিশ করতে, এবং পাকোড়া বিক্রি করতে। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ হিসেবেই মূল সভাস্থলের বাইরে একটি এই স্টল দেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা।

মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই ‘মেহঙ্গাই পার হাল্লা বোল সমাবেশ’এর আয়োজন করেছে কংগ্রেস। সেই সমাবেশের বাইরেই ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের জিএসটি হার বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই স্টল খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা বলেছেন, “একবার কর্মসংস্থানের বিষয়ে ‘পাকোড়া ভাজা’র কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রতীকী প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা তাঁকে বার্তা দিতে চাই যে, এই কঠোর মূল্যবৃদ্ধির বাজারে দেশের যুবকদের পক্ষে সেটাও সম্ভব নয়।”

যুব কংগ্রেসে কর্মীরা আরও বলেছেন, “প্রতিটি দেশীয় পণ্যে জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের দাম ঐতিহাসিকভাবে ২০০ টাকা প্রতি কেজিতে পৌঁছেছে। দরিদ্রদের জন্য বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে উঠেছে। মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব দেশকে অর্থনৈতিক হতাশার দিকে নিয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে এটা আমাদের হাল্লা বোল।”

মধ্য দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘মেহঙ্গাই পার হাল্লা সমাবেশে’ ভাষণ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী এবং দলের অন্যান্য বিশিষ্ট নেতারা। রাহুল জানান, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই দেশে ঘৃণা ও ক্রোধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘৃণা আসলে ভয়েরই বহিপ্রকাশ। ভয় থেকেই ঘৃণা তৈরি হয়। ভারতে ভয়ের পরিবেশ বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতের ভয়, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে ক্রমবর্ধমান ভয়ই, ভারতে ঘৃণা বৃদ্ধির কারণ বলে দাবি করেন রাহুল। এই ঘৃণা দেশকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, প্রায় এক লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।সমাবেশস্থলের বাইরে দেদার বিক্রি হয়েছে পাকোড়াও।