Money Recover: টানা ১০ ঘণ্টার তল্লাশি, শাসকদল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার ১,৪০,০০০০০ টাকা
Money Recover: টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিক্রম শিকারিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীকে। চলে লাগাতার তল্লাশি। প্রায় ১০ ঘণ্টার তল্লাশির পর উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু নথি।
কলকাতা: ফের একই প্রশ্ন ‘কত হল?’ বুধবারই রাত্রিবেলা শহরে উদ্ধার হয়েছিল কোটি টাকা (Money Recover)। বালিগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা উদ্ধার করেন কোটি টাকা। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিক্রম শিকারিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীকে। চলে লাগাতার তল্লাশি। প্রায় ১০ ঘণ্টার তল্লাশির পর উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু নথি।
ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের টাকা বিক্রম শিখারিয়ার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। ইডি সূত্রে আরও খবর এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে শাসক দলের দক্ষিণ কলকাতার এক নেতা ও তাঁর ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আরও এক ব্যবসায়ী মনজিত্ সিং জিত্তার খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, গজরাজ গ্রুপের মালিক এই বিক্রম শিখারিয়া। মোট তিরিশটি কোম্পানি এই গ্রুপের অন্তর্গত। ইডির সন্দেহ, এই কোম্পানিগুলিতে কয়লাপাচারের টাকা ঘুর পথে এসেছে।
সূত্রের খবর, যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি ৫/এ আর্ল স্ট্রিটে। বাড়ির পাশাপাশি ওখানে তাঁর একটি অফিস রয়েছে বলে খবর। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ চলে ইডি-র তল্লাশি অভিযান। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে না পারার কারণেই তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা কাণ্ডে যে কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছিল সেই টাকাই গিয়েছিল এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি ওই ব্য়ক্তির আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছে ফুড চেনের ব্যবসাও। রয়েছে একটি ধাবা।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পাথর-বালি-গরুর টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে এদিক ওদিক গিয়েছে। এই তদন্ত আরও অনেকদূর যাবে। শুধু বাংলা নয়, বাংলায় বাইরেও এই টাকা গিয়েছে। বিদেশেও গিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি এই বদ রক্ত বেরিয়ে যায় ততই সমাজের ভাল।”