Firhad Hakim: ওয়ার্ড অফিসে তালা, রাস্তায় অপেক্ষা করেও ফিরতে হল ফিরহাদ-বাবুলকে! নালিশ যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

Firhad Hakim: কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড অফিসগুলি মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অন্তর্গত। বুধবার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম।

Firhad Hakim: ওয়ার্ড অফিসে তালা, রাস্তায় অপেক্ষা করেও ফিরতে হল ফিরহাদ-বাবুলকে! নালিশ যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
ফিরহাদ হাকিম (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 9:15 AM

কলকাতা: ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েও প্রবেশ করতে পারলেন না তিনি। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর তালাবন্ধ ওয়ার্ড অফিসের বাইরে থেকেই ফিরে গেলেন মহানাগরিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

কী ঘটেছে?

কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড অফিসগুলি মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অন্তর্গত। বুধবার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। রাত ৮টা নাগাদ বালিগঞ্জ ফুটব্রিজের তলায় অবস্থিত ওয়ার্ড অফিসে যান বাবুলও। তবে সামনে গিয়েও সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা। চাবি না থাকায় তালা বন্ধ অফিস খুলতে পারা যায়নি। এরপর অফিসে তালা খোলার উদ্যোগ শুরু হয়। ততক্ষণে ওয়ার্ড অফিসের বাইরেই বসে পড়েন মেয়র এবং বিধায়ক। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তালা না খোলায় শেষে রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ এলাকা ছাড়েন ফিরহাদ। এর কিছু সময় পরেই এলাকা ছেড়ে চলে যান বাবুলও।

সেই কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে রীতিমতো তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপরই ওই ওয়ার্ড অফিসে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার চাবি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই ওয়ার্ডের আধিকারিকের কাছে থাকবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়রের দফতর থেকে।

শুধু তাই নয়, এছাড়া বিকল্প একটি চাবিও তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীকালে এই ধরনের অসুবিধায় যেন পড়তে না হয় খোদ মেয়রকে বা রাজ্যের মন্ত্রীকে। সেই কারণে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের তালার বিকল্প চাবি তৈরি করে নেওয়া হল। এর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই ওয়ার্ড অফিসের সামনে এবার থেকে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন। তিনি সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে থাকবেন। তাঁর কাছেই চাবি থাকবে।

তবে বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। মেয়র নিজের ঘনিষ্ঠমলে জানিয়েছেন, দলীয় সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাবেন। তবে একটি ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে কলকাতার মহানাগরিককে যেভাবে রাস্তায় অপেক্ষায় করতে হল তা যথেষ্ঠ অপমানজনক বলেই মনে করছেন কলকাতার মহানাগরিক।