TMC Candidate List: তৃণমূলের সোশ্যাল মাধ্যমে ‘ভ্যানিশ’ পুরভোটের ‘বিতর্কিত’ প্রথম প্রার্থী তালিকা!
Kolkata: সম্প্রতি আইপ্যাকের সঙ্গেও বেশ খানিকটা 'চিড়' ধরেছে সম্পর্কে। ফলে, আইপ্যাকেরল সঙ্গে আদতে তৃণমূলের সমীকরণ নিয়ে এখন নানা জল্পনা।
কলকাতা: শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তুলে নেওয়া হল পুরভোটের জন্য নির্ধারিত বিতর্কিত প্রথম তালিকাটি। রবিবার সকালে আচমকাই দেখা যায় তৃণমূলের ফেসবুক এবং টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তালিকা। পূর্বেই পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। তৃণমূলের ‘মুষলপর্ব’ কার্যত প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে আসে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন নেটমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, এমনটাই খবর সূত্রের। পরবর্তীতে খোদ নেত্রী স্পষ্ট করে জানান, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির নির্ধারিত তালিকাই চূড়ান্ত। খোদ পার্থও জানিয়েছিলেন কোনও প্রথম দ্বিতীয় তালিকা নেই। পুরভোটের জন্য একটিই তালিকা।
গত ২৮ জানুয়ারি ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা দলের ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়। এরপরেই বিপত্তির সূত্রপাত। সংবাদমাধ্যমে পার্থ জানিয়ে দেন দলের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রার্থী তালিকা সঠিক নয়। কারণ ওই তালিকায় কোনও স্বাক্ষর নেই। এদিকে সেই তালিকা ঘিরে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির স্বাক্ষর-সহ। সঙ্গে দলের স্ট্যাম্পও।
এ বার দলের কোন্দল বৃদ্ধি পায় আরও। দুটি প্রার্থী তালিকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। জেলায় জেলায় তালিকা পাঠিয়ে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি। খোদ দলের বিধায়ক প্রার্থীতালিকা নিয়ে প্রতিবাদ করেন। অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিম জানান, দলের ফেসবুক অ্য়াকাউন্টের অপব্যবহার করা হয়েছে। মুখে না বললেও ঠারেঠোরে আইপ্যাকের দিকেই আঙুল ছিল তাঁর।
কিন্তু সম্প্রতি আইপ্যাকের সঙ্গেও বেশ খানিকটা ‘চিড়’ ধরেছে সম্পর্কে। ফলে, আইপ্যাকেরল সঙ্গে আদতে তৃণমূলের সমীকরণ নিয়ে এখন নানা জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নেটমাধ্যমে নেতাদের ব্যক্তিগতভাবে কোনওরকম মতামত প্রকাশ করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে না। এমনকী, অভিষেকের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকে এমন বার্তাই তিনি দিয়েছেন বলে খবর সূত্রের। আর তারপরেই অফিশিয়াল পেজ থেকে তালিকা মুছে দেওয়া বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদিও, আইপ্যাক তাদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে দাবি করেছে তৃণমূলের কোনও নেতা বা সর্বভারতীয় তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে তারা নেই।
কিন্তু, তাতে কি বিরোধ আটকানো যায়! তৃণমূলের বর্তমান পরিস্থিতি সেইকথা বলছে না। দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে যে মতবিরোধের ছবি সামনে এসেছে তাতে বিভ্রান্ত হয়েছেন দ্বিতীয় সারির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরের রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ মমতা। দলের জাতীয়কর্মসমিতির চেয়ারপার্সন হয়েছেন তিনি। বাকি সমস্ত পদ অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দলীয় কোন্দলে যে ছেদ পড়েছে এমনটা এখনও মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা