SSC Case: ২০ জনের চাকরি বাতিল, নাম-সহ হলফনামা দিয়ে জানাল SSC

SSC: কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসির তরফে যে হলফনামা জমা করা হয়েছিল, তাতে ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী নিয়োগের কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, অঙ্কিতার পর এবার ২০ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

SSC Case: ২০ জনের চাকরি বাতিল, নাম-সহ হলফনামা দিয়ে জানাল SSC
(ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2022 | 11:54 PM

কলকাতা: নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে উত্তাল গোটা বাংলা। অনেকেই নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা এখনও রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। হকের চাকরির দাবিতে। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া স্কুল শিক্ষকদের বরখাস্ত করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশে আগেই চাকরি হারিয়েছেন পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসির তরফে যে হলফনামা জমা করা হয়েছিল, তাতে ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী নিয়োগের কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, অঙ্কিতার পর এবার ২০ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে ২০ জনের চাকরি বাতিল করেছে, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে। সেই তালিকায় রয়েছে জনৈক ইনসান আলির নামও। এই ইনসান আলির নাম অতীতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীনও উঠে এসেছিল। শেখ ইনসান আলি নামে এই ব্যক্তির র‍্যাঙ্ক নীচের দিকে ছিল, অথচ তিনি চাকরি পান বলেই অভিযোগ তুলেছিলেন মামলাকারীরা। এই ইনসান আলি আবার এককালে আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এক আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী জানান, ২০১৯ সালে যে আন্দোলন হয়েছিল, তাতে সভাপতি ছিল ইনসান আলি। কিন্তু পরে সে চাকরি পেয়ে গিয়েছিল।

২০ জনের চাকরি যাওয়ার বিষয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “সেটি তো আদালতের হলফনামাতেই বলা আছে। পুরোটাই আদালত নির্দেশিত পথে আমরা চলছি।”

যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে –

  • ইমাম মোমিন, ইংরেজি শিক্ষক, রামচন্দ্রপুর হাই স্কুল, দক্ষিণ দিনাজপুর
  • মহম্মদ গোলাম রব্বানি, ইংরেজি শিক্ষক, বলদিয়া বাশা হাই স্কুল, উত্তর দিনাজপুর
  • জুঁই দাস, বাংলা, গুরজপুর শিবগঞ্জ বিশ্বলক্ষ্মী হাই স্কুল, হাওড়া
  • মহম্মদ আজাদ আলি মির্জা, বাংলার শিক্ষক, খাবরা এইচ এন আগ্রিল হাই স্কুল, মালদা
  • ইলোরা হক, বাংলা
  • শেখ ইনসান আলি, ইতিহাস, বাণী নিকেতন আরএম বিদ্যালয়, পূর্ব বর্ধমান
  • মঞ্জুরুল সরকার, অঙ্ক, পঞ্চগ্রাম আইএসএ হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • মহম্মদ আমির হোসেন, অঙ্ক, নাজিরপুর এসেরপাড়া হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • মহম্মদ শরিয়াতুল্লা, অঙ্ক, ধর্মদঙ্গ হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • রমজান আলি, অঙ্ক, লস্করপুর হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • মহম্মদ জসিমউদ্দিন শেখ, অঙ্ক, কাজিপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবন, মুর্শিদাবাদ
  • মেহেরুল হক, অঙ্ক, দিঘরি হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • নীলমণি বর্মণ, অঙ্ক, সাহাপুর সাঁওতাল হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ,
  • নাজিরা খাতুন, ভূগোল, কামারতোড় হাই স্কুল, উত্তর দিনাজপুর
  • গুরুপদ ঘড়াই, জীবন বিজ্ঞান, কুতুবপুর নব আদর্শ হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • অভিজিৎ রায়, ভৌত বিজ্ঞান
  • দিব্যেন্দু সমাজদার, ভৌত বিজ্ঞান, হোসেনপুর হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
  • অরুণ কুমার সিনহা, ভৌত বিজ্ঞান
  • মহম্মদ তাজুউদ্দিন আহমেদ সাফিল ইমাম, ভৌতবিজ্ঞান
  • সিদ্দিক গাজি, অঙ্ক, সালুয়াডাঙা হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ

তবে এই ২০ জন বা ১৮৩ জনই নয়, সিবিআই-এর হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। অর্থাৎ, সিবিআই আদালতে রিপোর্ট জমা দিলে বেআইনি নিয়োগের তালিকা আরও লম্বা হবে বলেই মনে করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এই বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “আমার দৃঢ় ধারনা এই সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ এই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী যাঁরা, তাঁরা কয়েকটি উদাহরণ আনতে পেরেছিলেন। একদিকে ওএমআর শিটের সংখ্যায় কারচুপি, অন্যদিকে লিস্টের শেষের দিকে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা বা তালিকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের চাকরি পাওয়া… এই সব মিলিয়ে সংখ্যাটা অনেক বেড়ে যাবে।”