Fake Job Racket: সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, লোক ঠকানোর নতুন কায়দা রপ্ত করেছিল এরা
Fraud Case: সল্টলেক চত্বরে বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ভুয়ো চাকরির নামে প্রতারণার গ্যাং। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই চাকরি দেওয়ার নামে লোক ঠকানোর কারবারের গ্য়াংয়ের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম তনভীর আলম, অশোক রায় ও পাপাই শর্মা।
কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ। আর সেই টোপে পা দিলেই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকদের দল। সল্টলেক চত্বরে বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ভুয়ো চাকরির নামে প্রতারণার গ্যাং। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই চাকরি দেওয়ার নামে লোক ঠকানোর কারবারের গ্য়াংয়ের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম তনভীর আলম, অশোক রায় ও পাপাই শর্মা।
সল্টলেকের এই প্রতারকদের গ্যাংদের বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জানতে পারে পুলিশ। নিরীহ চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত তাদের। এমনই খবর আসে পুলিশের কাছে। আর সেই দিনই ওই প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে এক ব্যক্তি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগও জানান। গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য এবং ওই অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। আর তাতেই আসে সাফল্য। সল্টলেকের ওই চাকরির নামে লোক ঠকানোর কারবারের তিন চক্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একেবারে পেশাদারি কায়দায় নিজেদের ফাঁদ পেতে বসত এই প্রতারকদের গ্যাং। কীভাবে কাজ করত তারা? পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন লোকদের কাছে চাকরির প্রলোভন দিয়ে এসএমএস পাঠানো হত। তারপর যদি কেউ যোগাযোগ করত, তাদের দেখা করার জন্য ডাকা হত। বিশ্বাস আদায়ের জন্য নিজেদের সরকারি অফিসার বলে পরিচয় দিত এরা। আর বৈঠকও করতও সল্টলেকের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কাছাকাছি কোনও জায়গায়।
নদিয়ার রাশিদ মণ্ডলকেও এইভাবেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল ওই গ্য়াং। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁর থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ধৃতদের দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছে। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।