Fraud Case: সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে যেত ফোন, ফাঁদে পা দিলেই হত সর্বনাশ
Fraud Case: পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। ওই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চেষ্টা চালাচ্ছেন ইকোপার্ক থানার পুলিশকর্মীরা।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যখন তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য, তখন খাস কলকাতায় খোঁজ মিলল ভুয়ো চাকরির (Fake Job Offer)) প্রতারণাচক্রের। ইকোপার্ক থানায় (Eco Park Police Station) এলাকায় একটি বহুতলে রীতিমতো অফিস খুলে চলত লোক ঠকানোর কারবার (Fraud Case)। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। ওই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চেষ্টা চালাচ্ছেন ইকোপার্ক থানার পুলিশকর্মীরা।
কীভাবে চলত এই লোক ঠকানোর কারবার?
ইকোপার্কের নওপাড়া এলাকায় একটি বহুতল আবাসনের পাঁচতলায় খোলা হয়েছিল অফিস। রীতিমতো ঝাঁ চকচকে অফিস ঘর। সেখান থেকেই ফোন যেত বিভিন্ন কর্মপ্রার্থীদের কাছে। যেসব যুবক যুবতীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চাকরির জন্য আবেদন করতেন, তাঁদের ফোন করা হত। বলা হত বিভিন্ন সরকারি দফতর, এয়ারপোর্ট বা বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থায় চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। একবার সেই ফাঁদে পা দিলেই ব্যস। প্রথমে বলা হত রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা জমা দিতে হবে। পরে আরও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় টাকা নেওয়া হত। কিন্তু চাকরি আর মিলত না। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ আসছিল।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। তক্কে তক্কে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে গতকাল ইকোপার্ক থানার পুলিশ ওই বহুতলে অভিযান চালান। আর তাতেই আসে সাফল্য। ঘটনায় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় দুই যুবক ও এক যুবতীকে। শুক্রবার ইকোপার্ক থানার পুলিশ তাদের বারাসত আদালতে পেশ করে। এই ঘটনায় আরও কেউ কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। বিধাননগর ও আশপাশের এলাকায় এর আগেও একাধিক প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস করেছিল পুলিশ। এবার ইকোপার্ক থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার আরও তিন। রীতমতো অফিস খুলে ভুয়ো চাকরির প্রতারণাচক্র চালাত এই ধৃতরা।