Hookah Bar Raid: বর্ষবরণের আগে শহরে হুকা বারে হানা, ছিলিম-বেস-চারকোল সব বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ
Hookah Bar: ওই হুকা বার থেকে রীতেশ গুপ্ত, তারক দাস, সুজয় মিস্ত্রি, রাহুল ঘোষ ও নিখিল জয়সওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবৈধভাবে চলা হুকা বারগুলির বিরুদ্ধে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা: বর্ষবরণের আগে শহরের সর্বত্র সতর্ক নজর পুলিশের (Kolkata Police)। ফের শহরের একটি হুকা বারে (Hookah Bar) হানা দিল পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফুলবাগান থানা এলাকার ওই হুকা বারে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী বাজয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে কাচের তৈরি চারটি হুকা বেস, পাইপ এবং ছিলিম। এর পাশাপাশি চারকোলের দুটি বাক্স, ফ্লেভারড টোবাকোর দুটি কন্টেনারও পাওয়া গিয়েছে। ওই হুকা বার থেকে রীতেশ গুপ্ত, তারক দাস, সুজয় মিস্ত্রি, রাহুল ঘোষ ও নিখিল জয়সওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবৈধভাবে চলা হুকা বারগুলির বিরুদ্ধে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সেখানে হুকা বার চালানো হচ্ছিল। এর পাশাপাশি তামাক জাতীয় বস্তু সেবনের বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ছাড়াই সেখানে মানুষজনকে হুকা দেওয়া হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ফুলবাগান থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরের হুকা বারগুলির বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর বিধাননগর পুরনিগমও একই পথে হেঁটেছিল। তারপর থেকেই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হুকাবারগুলিতে অভিযান চালিয়েছে। ধরপাকড়ও করা হয়েছে অনেক। কিন্তু বর্ষবরণের আগে ফের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল হুকা বারে অভিযান চালিয়ে। পুলিশের কাছে এটি একটি বড় সাফল্য।
উল্লেখ্য, এই হুকাবারগুলিতে যে ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার হয়, তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বলে আশঙ্কার কথা আগেই শুনিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এমনকী এই হুকা বারগুলির আড়ালে মাদকের ব্যবহার হয় কি না, সেই বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসনও। বিশেষ করে বর্ষবরণের মরশুমে, কলকাতা শহরে যখন কাতারে কাতারে মানুষের ঢল, তখন কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।