SBSTC: ৫ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীদের, পুজোর আগে চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা
SBSTC: আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে জেলায়-জেলায় চরমে যাত্রী হয়রানি।
কলকাতা: ৫ দিন হয়ে গেল। সাত দফা দাবি নিয়ে SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি চলছেই। যার জেরে পুজোর আগে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ঝাড়গ্রাম-দিঘা, ঝাড়গ্রাম-কলকাতা রুট সহ একাধিক জায়গায় পরিষেবা বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত সমস্যায় সেখানকার মানুষ। অনেকেই পুজোর আগে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় সকলেই পড়েছেন আতান্তরে। কমবেশি একই ছবি দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য রাজ্যেও। এদিনও জেলায় জেলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির পতাকা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে জেলায়-জেলায় চরমে যাত্রী হয়রানি।
সপ্তাহ পেরোতে চলল। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি ওঠার কোনও লক্ষ্মণই নেই। সাত দফা দাবিতে অস্থায়ী বাস চালক, কন্ডাক্টর ও কর্মীদের আন্দোলনের জেরে চরম দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন রুটে তো বটেই উত্তরবঙ্গের একাধিক রুটেও ওই সংস্থার অধিকাংশ সরকারি বাসের চাকা থমকে। পুজোর সময় অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন সরকারি পরিবহণ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর, আসানসোল। বিভিন্ন ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার শতাধিক বাস চলাচল করে। শুধু জেলার মধ্যেই নয়, কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম ভরসা এই বাসগুলিই। প্রতিদিন গড়ে বিভিন্ন ডিপো থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৩০ টি বাস ছাড়ে। আন্দোলনের জেরে কার্যত ৯০ শতাংশ বাসের চাকাই থমকে। যার জেরে পুজোর সময় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে।
এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘খুবই অসুবিধা হচ্ছে কারণ এই লাইনে তো ট্রেন চলাচল নেই। সেই কারণে অসুবিধা হচ্ছে। খুবই ভোগান্তে হচ্ছে।’
যাত্রীদের বিপাকে ফেলে আন্দোলন। ঠিক কী দাবি অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের?
সমকাজে সমবেতন
মাসে অন্তত ২৬ দিন কাজ
সমবেতন ছুটি মঞ্জুর
ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্নিয়োগ
বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন ডিপোয় কমবেশি পাঁচশো অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের দাবি, বছর দশেক ধরে তাঁরা কাজ করছেন। যে সব দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন, তা পূরণে একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশ্বাসই সার। ফল হয়নি কিছুই।
এক আন্দোলনরত কর্মী বলেন, ‘আমরা দরকার পড়লে মরব তাও আমরা এখানে বসে থাকব। আমরা বারবার ডেপুটেশন দিয়েছি। কেউ কথা শোনেনি। ‘এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু লোক ভয় দেখাচ্ছে। এখন যারা হাঙ্গামা চায়। উন্নতি চায় না সেই শক্তিও নেমে পড়েছে।’
এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও আশ্বাস না মেলায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা। তার জেরে পুজোর মুখে জেলায়-জেলায় চরমে যাত্রী হয়রানি। কবে কাটবে জট? কবে স্বাভাবিক হবে পরিষেবা? সেই প্রশ্নই হাতড়াচ্ছেন যাত্রীরা।