Abhishek Banerjee: ‘জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস অশ্বডিম্ব’, নিজাম থেকে বেরিয়েই রণংদেহি অভিষেক
Abhishek Banerjee: অভিষেক বললেন, 'সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। তাঁদেরও সময় নষ্ট, আমারও সময় নষ্ট। নির্যাস হল অশ্বডিম্ব।' অভিষেকের দাবি, তাঁকে সিবিআই যা যা প্রশ্ন করেছে, সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন বলেও জানালেন।
কলকাতা: প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বিজেপির মধ্যে আঁতাতের তত্ত্ব আবারও উস্কে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু এভাবে ডেকে পাঠিয়ে অভিষেক ও সিবিআই (CBI) উভয় পক্ষেরই সময় নষ্ট করা ছাড়া, আর কিছুই হচ্ছে না বলেই মনে করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। বললেন, ‘সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। তাঁদেরও সময় নষ্ট, আমারও সময় নষ্ট। নির্যাস হল অশ্বডিম্ব।’ অভিষেকের দাবি, তাঁকে সিবিআই যা যা প্রশ্ন করেছে, সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন বলেও জানালেন।
বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আঁতাতের অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিষেক। বললেন, ‘আমি বশ্যতা স্বীকার করিনি বলে, আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগানো। আমি যদি আজ বিজেপি করতাম, আমি ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে থাকতাম। কিন্তু আমি দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকব না। তার থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে মাথা উঁচু করে মরা ভাল।’
কী কী বিষয়ে অভিষেককে এদিন প্রশ্ন করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা, সেই বিষয়েও নিজেই জানালেন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, কয়লা, গরু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলায় বেশ কিছু নাম নিয়ে নিজাম প্যালেসের ভিতরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি ওই ব্যক্তিদের চেনেন কি না। অভিষেক বললেন, ‘বিশ্বাস করবেন না, তাঁদের ৯০ শতাংশ লোকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদে। পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে কে ছিলেন? কার কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তা আমি তদন্তের স্বার্থে জনসমক্ষে আনব না। যে এজেন্টদের কথা আমায় জিজ্ঞেস করেছে, তাদের বেশিরভাগ যদি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের হয়… দলের তরফে কে দায়িত্বে ছিলেন?’
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ রয়েছে অভিষেকের মনে। তাঁর বক্তব্য, ‘একবছর ধরে এসএসসি তদন্ত করছেন, ১০ বছর ধরে সারদায় তদন্ত হচ্ছে, সাত বছর ধরে নারদায় তদন্ত হচ্ছে। এর নির্যাস কী? এর নিটফল কী? রেজাল্ট কী? শূন্য। কী তদন্ত করছেন? যাঁরা তদন্ত করছেন, হয় তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত, নাহলে যাদের কথায় তদন্ত করছেন… তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত।’
একইসঙ্গে অভিষেকের আরও সংযোজন, তাঁর কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যা যা তথ্য জানতে চেয়েছেন, সেই সবেরই উত্তর দিয়েছেন তিনি। যদিও, সিবিআইয়ের প্রশ্নমালার মধ্যে ‘৯০ শতাংশই বোগাস’ বলে দাবি অভিষেকের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, তাঁকে যতবার ডাকা হয়েছে ততবার তিনি তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের নোটিসে এভাবে ডেকে পাঠানোয় বেজায় বিরক্ত অভিষেক। বললেন, ‘আমি এটুকু আশা করেছিলাম, অন্তত ৪৮ ঘণ্টা বা ৭২ ঘণ্টার নোটিসে ডাকবে। আমার অসুবিধা নেই আসতে। কিন্তু আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকে। ৩০-৪০ হাজার লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা আমাকে ভুল বোঝেন।’