টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েও রেহাই নেই, করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক
ভাইরাসের কী ধরনের স্ট্রেন মোকাবিলায় টিকা রক্ষাকবচ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে এ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের নমুনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।
কলকাতা: করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরেও করোনা (COVID) আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পরে করোনা পজিটিভ হলেই তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মাল্য রায়, এনআরএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রাজীব বসু টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই টিকা নেওয়ার পরও কোন ভ্যারিয়েন্ট হুল ফোটাতে পারছে, তা খতিয়ে দেখতে চায় স্বাস্থ্য দফতর।
ভাইরাসের কী ধরনের স্ট্রেন মোকাবিলায় টিকা রক্ষাকবচ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে এ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের নমুনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। এ দিকে কোভিড রোধে মাস্ক কেন সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন তা এ সকল ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক মাসের মাথায় কোভিড পজিটিভ হয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ঘ্রাণ শক্তি চলে যাওয়ায় শনিবার নমুনা পরীক্ষা করান সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিক। আজ সকালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাকিদের ক্ষেত্রেও ঘটনাক্রম প্রায় এক। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, অসুখের মাত্রা বৃদ্ধি আটকাতে টিকা সহায়ক। কিন্তু টিকা নিলে কোভিড হবেই না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই দ্বিতীয় ঢেউ যখন এ রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে তখন মাস্কের ব্যবহারে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে চলা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ৯০০ কোটির ‘সবেচেয়ে বড় স্ক্যাম’! ‘কয়লাকাণ্ডের টাকা গিয়েছে ভাইপোর কাছে’, অভিষেককে নিশানা বিজেপির