NRS Hospital: সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য ২০ হাজার? কী হচ্ছে এনআরএসে ?
Kolkata: সূত্রের খবর, নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: তোলাবাজির অভিযোগে জড়ালো নীলরতন সরকার হাসপাতাল (NRS)। বৃদ্ধের চিকিৎসার নামে কুড়ি হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ। চিকিৎসক ও রোগীর ছেলের কথোপোকথনের অডিও উঠে এল টিভি৯ বাংলার হাতে। যদিও, অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯। সূত্রের খবর, নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
কী ঘটেছে?
কলকাতার তেলেঙ্গাবাগানের বাসিন্দা অজিত বসু (৭৫)। ১ মার্চ এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার অজিতবাবুর ছেলে ইন্দ্রানুজকে ডেকে পাঠান নিউরো সার্জারি বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অজিতবাবুর ছেলে ইন্দ্রানুজকে ডেকে পাঠান নিউরো সার্জারি বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি জানান, শুক্রবার বিকালে তাঁর বাবার অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু তার জন্য দিতে হবে ২০ হাজার টাকা! এই কথা শুনেই ইন্দ্রানুজ জানতে চান, সরকারি হাসপাতালে সব পরিষেবা হয় বিনামূল্যে। তাহলে টাকা চাওয়া হচ্ছে কেন? তাছাড়া রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। কিন্তু তারপর ফোনের ওইপাড় থেকে জবাব আসে, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হবে। আর এখানে কুড়ি হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে টিভি ৯ বাংলাকে ইন্দ্রানুজ বসু বলেন, “ওরা আমায় বলে বাবার সার্জারির জন্য এক সলিউশান প্রয়োজন। যেই সলিউশন থেকে কোনও ইনফেকশন ছড়াবে না। এবার এই সলিউশনের জন্য একটি যন্ত্র কিনতে হবে। আর যন্ত্রটি হাসপাতাল থেকেই বলে দেওয়া হবে কার কাছ থেকে কিনব। টাকাটা সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে। আজকে আমার থেকেও অনেক দুস্থ মানুষ রয়েছেন। তারা কীভাবে কুড়ি হাজার টাকা দেবে? তারা কি প্রত্যেকে পিতৃহারা বা মাতৃহারা হয়ে যাবে? আমি এখনও সুপারের কাছে যাইনি। তবে অভিযোগ অবশ্যই করব।”
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, যিনি ফোনের এই পার থেকে টাকা চাইছেন তিনি সাফ-সাফ রোগীর ছেলেকে বলছেন যে টাকা নিজেরা নেবেন না। ‘অন্য একজনকে’ দিতে হবে। তাহলে এই ‘অন্য একজনটা’ কে? সে কি হাসপাতালের কর্মী? নাকি অন্য কেউ! তাহলে কি এনআরএস-এ একধরনের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে অভ্যন্তরে ?
পুরো ঘটনায় নিউরো সার্জারি বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি এক চিকিৎসকও অভিযুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক বলেন, “আমি এখনও অবধি তদন্ত করে কোনও গঠনমূলক তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।”