পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে একই মঞ্চে মুখোমুখি হতে দেখা যায় অমিত শাহ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
শুক্রবার রাতে কলকাতা (Kolkata) বিমামবন্দরে পা রাখা মাত্রই সোজা চলে যান রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক তাঁর। বৈঠকে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
অমিত শাহর সভাপতিত্বে এদিন মিনিট চল্লিশের বেশি সময় ধরে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক চলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজয় চৌধুরী, বিহারের অর্থমন্ত্রী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সুখদেব সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, বিহারের মুখ্যসচিব আমির শেখবানী-সহ প্রমুখরা।
বৈঠক শেষে এদিন দুপুর ২.১০ মিনিটে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ঢোকেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রায় ১৭ মিনিটের কাছাকাছি সময় ধরে দুজনের মধ্যে আলোচনা চলে।
তবে এদিন অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজে ছিল বিশাল আয়োজন। তবে তাঁর খাওয়ার তালিকা ছিল বেশ ছিমছাম। সূত্রের খবর, মিক্সড ভেজ, এক টুকরো ধোকা, একটা কচুরি, একটা ঠেপলা (গুজরাটি রুটি) , ডাল আর এক টুকরো পাঁপড় খেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, অমিত শাহের জন্য বাঙালি ও গুজরাটি মিলিয়ে পঞ্চাশের বেশি পদ রান্না করা হয়েছিল। তবে অমিত খেয়েছেন মাত্র ৬টি পদ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু ধোকলা আর চা খান। এদিকে অমিত শাহের সুগার রয়েছে। সে কারণেই খাওয়ার শেষে সকলে তাঁকে মিষ্টি খাওয়ার অনুরোধ করলেও মিষ্টির টুকর ভেঙে খান বলে খবর।