Anubrata Mondal: সাঁড়াশি চাপ থেকে ‘মুক্তি’ পেতে হাইকোর্টে জোড়া মামলা কেষ্টর
Anubrata Mondal: গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সেদিনই কেষ্টকে 'সোন অ্যারেস্ট' করে ইডি।
কলকাতা: একটু একটু করে অনেকগুলো দিনই জেলের অন্দরে কাটিয়ে ফেলেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। একদিকে সিবিআই (CBI), অন্যদিকে ইডি। সাঁড়াশি চাপ থেকে এখনই অনুব্রত মুক্তি পাবেন বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। তাই এবার অব্যাহতি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। একদিকে জামিনের আবেদন চেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি, অন্যদিকে, ইডির মামলা খারিজের দাবিতে আরও একটি আবেদন করেছেন হাইকোর্টে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই দুই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গরু পাচার মামলায় প্রথমে অনুব্রতকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও পরে ইডি-র তরফেও তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। যেহেতু ইডির এই সংক্রান্ত মামলা চলছে দিল্লিতে, তাই ওই সংস্থা অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায়। পাচারের টাকা অনুব্রতর হাতে আসত কি না, অনুব্রতর এত বিপুল সম্পত্তি কীভাবে হল? তাঁর মেয়ে একজন প্রাথমিকের শিক্ষিকা হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তদন্তের স্বার্থে তা জানতে চান গোয়েন্দারা।
ইডি-র সেই মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে মঙ্গলবার। আগামী ২ ডিসেম্বর মামলা শুনবে আদালত। অন্যদিকে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বুধবারই শুনানি হবে অনুব্রতর জামিন মামলার।
গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সেদিনই কেষ্টকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। এরপরই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানান ইডির আধিকারিকরা। সুতরাং ইডি যে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর, তা স্পষ্ট। সেই পরিস্থিতিতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।