Anubrata Mondal Case: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রতর, আজ আদালতে শুনানি

Post Poll Violence: আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে তিনি সবরকম সাহায্য করবেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া পদক্ষেপ না করে।

Anubrata Mondal Case: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রতর, আজ আদালতে শুনানি
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2022 | 12:08 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ সেই মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার আদালতে। বিজেপি-র এক কর্মী খুনের মামলায় হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে তিনি সবরকম সাহায্য করবেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া পদক্ষেপ না করে।

গত ২ মে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বীরভূমের গোপালনগর গ্রামে খুন হন বিপ্লব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁর ওপর হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। রাস্তায় ফেলে বেপরোয়া মারধর করা হয় তাঁকে। মাথায়, বুকে পিঠে একাধিক ক্ষত তৈরি হয় বিপ্লব সরকারের। মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা তেমনই জানিয়ে দেন রিপোর্টে। ঘটনায় উঠে আসে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার করা হয় দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে। তদন্ত যত এগোয়, উঠে আসে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। নোটিস পাঠানো হয় ইলামবাজারের তৃণমূলের সম্পাদককে। অনুব্রত মণ্ডলের নামেও জারি হয় নোটিস।

গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, শারীরিক ভাবে তিনি অসুস্থ। তিনি সিবিআই-এর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। হাজিরা দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি।

ফের আবারও তাঁকে তলব করা হয়। তাঁর শারীরিক অসুস্থতা আদৌ রয়েছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ ২৮ জানুয়ারি, যে দিন অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যান, সেদিনই তাঁকে দেখা যায় বীরভূমে এক দলীয় কর্মসূচিতে।

বীরভূমে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআর-এ সরাসরি নাম নেই অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু গোয়েন্দাদের দাবি, এই খুনের মামলায় অনুব্রতকে জেরা করা একান্ত জরুরি। এই মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে তাঁর থেকে। সেই কারণেই বারবার তলব করা হচ্ছে তাঁকে।

অনুব্রতকে সিবিআই নোটিস পাঠানোয় বিরক্ত হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই নেতাজি ইন্ডোরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন. ‘”পলিটিক্যালি তো পারবে না, দিয়েছে সিবিআই-এর নোটিস পাঠিয়ে। ও বেচারা অসুস্থ।” এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বলেন, “অভিষেক গোয়া করছে, ওর লইয়ার, ওর প্লেনে যে টিকিট কাটে, সেই ট্র্যাভেলার্স থেকে শুরু করে, স্কুলের যত বন্ধু রয়েছে সবার বাড়িতে নোটিস পাঠিয়েছে।”

আরও পড়ুন: রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কী? বিশেষ নজর জেলায়, বৃহস্পতিবারই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী