Fraud Case: ‘নাম জড়িয়েছে সেক্স ব়্যাকেটে’, ফোন করেই ফেঁসে গেলেন ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর’
Fake Police: ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তাঁকে প্রতারণার ফাঁদের ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে।
কলকাতা: ফের জালে ভুয়ো পুলিশ। পুলিশ ইনস্পেক্টর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে সাপুরজি কমপ্লেক্স থেকে এক নাবালক-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের সাইবার থানার তদন্তকারীরা।অভিযোগ, ধৃতেরা কলকাতা পুলিশের ইনস্পেক্টর পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফোন করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর নাম সেক্স ব়্যাকেটে জড়িয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হবে পুলিশকে। ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তাঁকে প্রতারণার ফাঁদের ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা সাপুরজি কমপ্লেক্সে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল। তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন নাবালক রয়েছে। তারা সম্প্রতি কলকাতার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ফোন করে। ওই ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, ফোনে তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁর নাম সেক্স ব়্যাকেটে জড়িয়ে গিয়েছে। তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। গ্রেফতারি এড়াতে চাইলে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হবে পুলিশকে।
পুলিস ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল বলে জানান ওই ব্যক্তি। মোবাইলে কথা বলার সময়েই তিনি বুঝতে পেরে যান, প্রতারক ফোন করেছে তাকে। কথাবার্তাতেই সন্দেহ হয়েছিল ওই ব্যক্তির। তৎক্ষণাৎ তিনি কলকাতার সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নামে পুলিশ।
কললিস্ট খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। পরে তল্লাশি চালিয়ে সাপুরজি কমপ্লেক্স এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা আপাতত জেরায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। পুলিশ মনে করছে, এর পিছনে একটা চক্র কাজ করছে। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছে, ধৃতরা কোনওভাবে রাজস্থানের কুখ্যাত ভরতপুর গ্যাঙের সদস্য কিনা। তাদের মোডাস অপারেন্ডি দেখে তাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ ওই গ্যাঙের সদস্যরা এইভাবে ফোন করে লোককে বলত, তাদের নাম কোনও চক্রে জড়িয়ে গিয়েছে। বাঁচতে হলে মোটা টাকা দিতে হবে। এই ভাবে একাধিক ব্যক্তিকে জালে ফাঁসিয়েছে তারা। ধৃতদের আজই আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা। কলকাতায় এই গ্যাঙ আর কতজনকে তাদের জালে ফাঁসিয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইদানীং শহরে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার ক্রাইম। এটাই এখন পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এরকম একাধিক প্রতারণার ফাঁদ ফেলছে প্রতারকরা। নিত্য নতুন জাল বিছোচ্ছে তারা। নতুন নতুন লোকে জালে ফেলছে। এই ধরনের যে রকম ফোন এলে, সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে সঙ্গেই সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের খুলল স্কুল, অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে কোভিড বিধি