Arpita Mukherjee: অর্পিতার বাড়ির ২১ কোটি কি বিদেশে পাচার হচ্ছিল? হাওয়ালা-যোগ?

Arpita Mukherjee: বিদেশ যোগের প্রমাণও ইডি-র হাতে এসেছে। ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গত পাঁচ ছ'বছরে বেশ কয়েকবার বিদেশে গিয়েছেন।

Arpita Mukherjee: অর্পিতার বাড়ির ২১ কোটি কি বিদেশে পাচার হচ্ছিল? হাওয়ালা-যোগ?
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 1:21 PM

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে মজুত রাখা টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে ইডি-র সন্দেহ। ইডি সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, যে ভাবে টাকার বান্ডিলে সেলোটেপ মেরে রাখা হয়েছিল, তাতেই হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের সন্দেহ বাড়ছে। ইডির দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এর আগেই দেশের বাইরে টাকা পাচার হয়েছে।

ইডি-র আধিকারিকদের কথায়, এই মামলা অনেকটা পেঁয়াজের খোসার মতো। অর্থাৎ যতই খোলা হচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য় সামনে আসছে। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ই এখন তদন্তকারীদের কাছে ট্রাম্প কার্ড। উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছিল, কোন উদ্দেশে তা ব্যবহার করা হত, কেন এত পরিমাণ টাকা মজুত করা হয়েছিল, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

ইডি প্রাথমিকভাবে মনে করছে, এই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার একটা পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কেন এই অনুমান? যেভাবে প্যাকেটবন্দি অবস্থাতে সেলোটেপ লাগানো অবস্থায় এই টাকার বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে, তা দেখেই অনুমান করা হচ্ছে, এগুলি হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।

বিদেশ যোগের প্রমাণও ইডি-র হাতে এসেছে। ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গত পাঁচ ছ’বছরে বেশ কয়েকবার বিদেশে গিয়েছেন। বাড়ি থেকেও বিদেশি যোগের নথি মিলেছে। কেন বিদেশে গিয়েছিলেন, বিদেশ যাওয়ার খরচ কে বহন করেছিল, তার সদুত্তর তিনি তদন্তকারীদের দিতে পারেননি। প্যাকেটবন্দি করা সেলুটেপ দিয়ে আটকানো টাকা কেন রাখা হয়েছিল, সেটাই ইডি আধিকারিকদের কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ ঘনিষ্ঠ অপির্তার ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। নথি দেখে ইডি-র সন্দেহ, অর্পিতার সঙ্গে বিদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীর যোগাযোগ ছিল।