Haridebpur Case: শুধু দিদি নয়, মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অয়নের! ভাই জেনে ফেলাতেই কি বিপত্তি?
Haridebpur Case: সূত্রের খবর, অয়ন যখন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর বান্ধবী ও বান্ধবীর ভাই বাড়িতে ছিলেন না। পরে ফেরেন তাঁরা।
কলকাতা : নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় দিন পর উদ্ধার হয়েছে হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডলের দেহ। এই ঘটনায় একদিকে যেমন পুলিশের গাফিলতির প্রশ্ন উঠছে, অন্যদিকে সামনে আসছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথাও। প্রথম থেকেই অয়নের পরিবার জানিয়েছিল, বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পরই নিখোঁজ হয়ে যান অয়ন। আর এবার সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ। শুধুমাত্র বান্ধবী নয়, তাঁর মায়ের সঙ্গেও বিশেষ সম্পর্ক ছিল অয়নের। সে কথা নাকি জানতেন পরিবারের লোকজনও!
শুক্রবার অয়নের এই দুই সম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান অয়নের বাবা। তিনি দাবি করেন, ওই বান্ধবী ও তাঁর মা, দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল তাঁর ছেলের। শুধু অয়নের পরিবার নয়, ওই বান্ধবীর পরিচিতরাও এ কথা জানতেন। প্রতিবেশীরাও অনেকেই ওই সম্পর্কের কথা জানতেন বলে শোনা যাচ্ছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সম্পর্কের টানাপোড়েনই খুনের অন্যতম কারণ। সূত্রের খবর, দশমীর রাতে অর্থাৎ যে সময় অয়ন বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই সময় ওই বাড়িতে বান্ধবী ছিলেন না, ছিল না তাঁর ভাইও। পরে ভাই বাড়িতে ফেরে। এরপরই কোনও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে অয়নকে আঘাত করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। মনে করা হচ্ছে, বান্ধবীর ভাই প্রথম আঘাত করে থাকতে পারে অয়নকে। এরপর ঠিক কী হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ মনে করছে, বান্ধবীর বাবার নির্দেশে অয়নের দেহ অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, বান্ধবীর বাড়ি থেকে ওই দিন রাত ৩ টের সময়ও এক বন্ধুকে ফোন করেছিলেন অয়ন। তারপর আর তারঁ সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট অঞ্চল থেকে উদ্ধার হয় অয়নের দেহ। শুক্রবার মধ্যরাতে দেহ আনা হয় বাড়িতে। এরপর বান্ধবী, তাঁর মা, বাবা, ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বান্ধবীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।