Babita Sarkar: ববিতাই প্রথম! অযোগ্য প্রার্থীর জায়গায় চাকরি পেয়ে দিশা দেখালেন আন্দোলনকারীদের

Babita Sarkar: ববিতাকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই তিনি পেলেন এই সুপারিশ পত্র।

Babita Sarkar: ববিতাই প্রথম! অযোগ্য প্রার্থীর জায়গায় চাকরি পেয়ে দিশা দেখালেন আন্দোলনকারীদের
সুপারিশ পত্র পেলেন ববিতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 6:05 PM

কলকাতা : অযোগ্য হয়েও চাকরি পেয়েছেন অন্য কেউ। খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে সামনে থেকে লড়াই করতে পিছপা হননি তিনি। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে দিনের পর দিন যে লড়াই তিনি চালিয়েছেন, তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। এবার আদালতের নির্দেশে সেই লড়াইয়ের ফল পেলে ববিতা সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হল ববিতার হাতে। সোমবার এসএসসি-র অফিস আচার্য সদনে এসে সেই সুপারিশ পত্র গ্রহণ করলেন তিনি। যে স্কুলে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি করতেন, সেই স্কুলেই শিক্ষকতার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তাঁর লড়াই শেষ হওয়া আর মাত্র কয়েকটি ধাপের অপেক্ষা বলে উল্লেখ করেছেন ববিতা।

এর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত আন্দোলকারী সোমা দাসকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে কোনও অযোগ্য প্রার্থীকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নিয়োগ করার ঘটনা এই প্রথবার। তাই ববিতার লড়াই ও তাঁর সাফল্য কার্যত নজিরবিহীন।

মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন অঙ্কিতা অধিকারী। সেখানে চাকরির জন্য তাঁকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, পরেশ অধিকারীর মেয়েকে সরিয়ে দিয়ে বহাল করতে হবে ববিতা সরকারকে। সেইমতো আদালতের নির্দেশ মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে এ দিন সুপারিশ পত্র তুলে দেওয়া হয় ববিতা সরকারের হাতে।

এ দিন ববিতা বলেন, ‘আর মাত্রা কয়েকটা ধাপ বাকি, তারপরই শেষ হবে দীর্ঘ লড়াই।’ এ দিন পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। এরপর তিনি পাবেন নিয়োগ পত্র। তারপর বাকি প্রক্রিয়া এগোবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই জয়ের জন্য সবার আগে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি, যাঁর নির্দেশে তাঁকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, তাঁর আইনজীবী ও তাঁর লড়াইয়ের সঙ্গী, যাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ববিতা। তাঁর দাবি, যাঁরা এখনও বঞ্চিত আছেন, তাঁদেরও খুব শীঘ্রই চাকরি দেওয়া হবে। কারণ, এতদিন সার্ভার রুম বন্ধ থাকায় কাজ এগোয়নি। এবার সার্ভার রুম খুলে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘ববিতা চাকরি পেয়েছেন এটা খুব ভাল খবর। যাঁরা বঞ্চিত, তাঁরা প্রত্যেকেই যদি চাকরি পান, তাহলেই সবথেকে বেশি খুশি হব।’

২০১৭ সালের নভেম্বরে শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা বেরতেই সবাইকে টপকে একেবারে শীর্ষস্থানে উঠে যান অঙ্কিতা। ফলে আগের তালিকায় ২০ নম্বরে নাম থাকা ববিতা সরকার চলে আসেন ২১ নম্বরে। চাকরি পাননা তিনি। এরপরই শুরু হয় তাঁর লড়াই। আদালতের নির্দেশে মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আগেই। প্রাপ্ত বেতনের সাত লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি টাকা জমাও দিয়ে দিয়েছেন অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশে সেই সব টাকাও দেওয়া হবে ববিতাকে।