Sukanta Majumdar : ‘বাংলা ভাগ করতে দেব না’, নাড্ডাকে পাশে বসিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুকান্ত
Sukanta Majumdar : একদিন আগেই উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গভঙ্গ নিয়ে ফের একবার এক হাত নিয়েছিলেন বিজেপিকে।
কলকাতা : কখনও গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে বিতর্ক, তো কখনও আবার উন্নয়ন। বহু বিজেপি (BJP) নেতার স্পষ্ট দাবি, দক্ষিণবঙ্গের নিরিখে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) উন্নয়ন হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন থেকেই লাগাতার উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি জানাতে দেখা গিয়েছে জন বার্লা, মনোজ টিজ্ঞা, নিশীথ প্রামাণিকের মতো তাবড় তাবড় নেতাদের। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট দাবি, তাঁরা বাংলা ভাগ চান না। পূর্বস্থলীর সভা মঞ্চ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে বসিয়ে এ কথা বলতে দেখা গেল তাঁকে। যা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। একদিকে যখন দলের একাধিক নেতাকে বারবার বাংলা ভাগের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে, সেখানে সুকান্তর এই মত বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। নাড্ডার সামনে তাঁর এই মন্তব্য আদপে দলেরই ঘোষিত নীতি, তাতেই এদিন সিলমোহর পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। একদিন আগেই উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গভঙ্গ নিয়ে ফের একবার এক হাত নিয়েছিলেন বিজেপিকে।
উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “এক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সকলে এসে বলুক তাঁরা আলাদা রাজ্য চায় আমি এরপর থেকে আর মুখ দেখাব না। আমাদের ভাওতাবাজির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।” তাঁর এ কথার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সুকান্ত বললেন, “অভিষেক উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছে বিজেপি উত্তরবঙ্গকে না কি ভাগ করতে চায়। আমরা না কি বাংলাকে ভাগ করতে চাই। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে এই মঞ্চ থেকে সর্ব-ভারতীয় সভাপতিকে সামনে রেখে ঘোষণা করছি বিজেপির ঘোষিত নীতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে রূপে বাংলাকে রাখতে চেয়েছেন আমরা সেই রূপেই রাখব। বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না। বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।” যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সুকান্তর সাফ দাবি, রাজ্যজোড়া দুর্নীতি থেকে চোখ ঘোরাতেই এত নাটক করছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেড় কোটি টাকা নিয়েও তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী মঞ্জিত সিং নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বহু নেতার যোগাযাগ রয়েছে বলেও দাবি সুকান্তর। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতেই বারবার বাংলাভাগের প্রসঙ্গ তুলে আম-আদমির বজর ঘোরাতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা, এমনটাই দাবি সুকান্তর।