শাহ ফিরতেই টুইট বাণ ধনখড়ের, মমতা-পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের শেখালেন সাংবিধানিক আচরণবিধি

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আরও একবার, ইস্যু অভিন্ন, একাধিক টুইট, ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে রাজ্য সরকার তদুপরি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাকে বিঁধে মমতা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। আরও একবার বাংলার পুলিস সাংবিধানিক পাঠ পড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে।’ এর জন্য তিনি ১৯৬৮ সালের এআইএস (কন্ডাক্ট) রুলস-এর কথা […]

শাহ ফিরতেই টুইট বাণ ধনখড়ের, মমতা-পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের শেখালেন সাংবিধানিক আচরণবিধি
শাহ ফিরতেই টুইট বাণ ধনখড়ের, মমতা-পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের শেখালেন সাংবিধানিক আচরণবিধি
Follow Us:
| Updated on: Nov 10, 2020 | 6:05 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আরও একবার, ইস্যু অভিন্ন, একাধিক টুইট, ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে রাজ্য সরকার তদুপরি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাকে বিঁধে মমতা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। আরও একবার বাংলার পুলিস সাংবিধানিক পাঠ পড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে।’ এর জন্য তিনি ১৯৬৮ সালের এআইএস (কন্ডাক্ট) রুলস-এর কথা মনে করিয়ে দেন।

কৃষক ইস্যু হোক কিংবা রাজ্যের শিক্ষানীতি বা আইনশৃঙ্খলার বিষয়- বারবারই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের টুইট যুদ্ধে তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজনীতি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)  টুইট যুদ্ধে রাজ্যবাসী যুগপৎ বিস্ময় ও হর্ষ। দুই ব্যক্তিত্বের সম্পর্কও কিছুটা অম্ল মধুর। তবে একুশের নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যপালের টুইটও হচ্ছে তত বেশি সূক্ষ্ম ও তীক্ষ্ণও। এর আগেও একাধিকবার রাজ্যপুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিস-প্রশাসনেও রাজনীতিকরণ, মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান অমান্য, এমনকি একুশে বাংলার সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও। এবার আরও তীক্ষ্ণ আক্রমণ।

সোমবার টুইট করে তিনি একইসঙ্গে IAS ও IPS-দের সতর্ক করেন। লেখেন, ‘নিজেকে যতই বড় ভাবুন না কেন, মনে রাখবেন আইনের থেকে বড় আপনি নন।’ আধিকারিকদের সরাসরি সতর্ক করে রাজ্যপাল এদিন লেখেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত মমতা সরকারের সরকারি চাকুরেদের একাংশ আমার সতর্কবাণীর কিছুটা কাজ হয়েছে। তবে কিছু আধিকারিক এখনো কথা শুনছেন না। যা তাঁদের পেশা প্রভাব ফেলতে পারে। অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন তাঁরা।’

বঙ্গসফরে এসে রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যেখানে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একাধিকভাবে মমতা-সরকারকে বিদ্ধ করেছেন, তেমনি রাজ্যপাল সংবিধান যথাযথভাবে মেনে চলছেন বলে একটি অত্যন্ত ‘রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ’ মন্তব্য করেন শাহ। স্বাভাবিকভাবে তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। শাসকদল তো বটেই, এবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীই বলে বসলেন, “রাজ্যপালকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভালো মুখ মনে হতে পারে।” আপাতত এক মাসের জন্য পাহাড়ে রয়েছেন ধনখড়। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। শাহ বাংলায় আসার আগে দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যপাল। এর আগেও বাংলার নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার শাহ ফিরতেই আরও একবার বাংলার প্রশাসনিক কর্তাদের বিঁধে ফের টুইট করলেন রাজ্যপাল।

সম্প্রতি পাহাড়ের রাজনীতি অন্য খাতে বইতে শুরু করেছে। মমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং। এনডিএ ছেড়েছেন তিনি। ফলে পাহাড়ে শক্তি খর্ব হয়েছে বিজেপির। এই অবস্থায় জগদীপ ধনকড়ের দার্জিলিং সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।